ছবি: এএফপি।
ব্রকোলি দিয়ে কিনওয়া স্যালাড কখনও খেয়েছেন? না খেলে আফসোস করবেন না! কারণ, অভিষেক বচ্চন তাঁর সোশ্যাল প্লেটে ব্রকোলি মাখানো কিনওয়া স্যালাড পরিবেশন করেছেন। আর সঙ্গে সঙ্গে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অসংখ্য টুইটারবাসী। এখনও পর্যন্ত তা ‘চেখে’ দেখেছেন তিন হাজার খাদ্যরসিক। তা কী এমন বিশেষ ব্যাপার রয়েছে ওই প্লেটে? জুনিয়র বচ্চনের দাবি, তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্যা রাই নিজের হাতে তা রেঁধেছেন। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে তার ছবি তুলে টুইটারে পোস্ট করেছেন গর্বিত স্বামী। আর তা দেখে লাইকের ঝড় তুলেছেন অভি-অ্যাশের ফ্যানেরা।
কেমন খেতে সে ডিশ? ছবি দেখে তা তো বোঝা সম্ভব নয়। তবে তাতে দমে যাননি ফ্যানেরা। নিজেদের পছন্দ মতো কমেন্টের ফুলঝুরি ছড়িয়েছেন অভি-র অ্যাকাউন্টে। কোনও রসিক লিখেছেন, “আমি নিশ্চিত, অভিষেকের এটা পছন্দ হয়নি। কিন্তু ভেবে দেখুন, ঐশ্বর্যা খাবার পরিবেশন করছেন... হে ভগবান... !” আত্মবিশ্বাসটা দেখুন এক বার! অভিষেক যেন কিনওয়া স্যালাড খেতে ভালবাসেন না— এমনটা জানেন তিনি!
অনেকে আবার অভিষেককে অনুরোধ করেছেন, “আপনি না খেলে আমার জন্য পাঠিয়ে দিন!” কেউ কেউ আবার অভিষেককে প্রশ্ন করেছেন, “আচ্ছা, কেমন খেতে ছিল?” শুধু কি অভিষেক, ঐশ্বর্যাকেও এর মাঝে টেনে এনেছেন এক নেটিজেন। অ্যাশের কাছে আবদার— “খেতে চলে আসি, অ্যাশজি!”
আরও পড়ুন: সন্তান হলে এগুলো নিজের ঘরে রাখতে চান না কোহালি?
আরও পড়ুন: ঋতু আমাকে বলেছিল, ওর এক পুরুষ প্রেমিক আছে
অনুরোধ-রসিকতার মাঝে এক নেটিজেন আবার ব্রকোলি নিয়ে গুরুগম্ভীর বিশ্লেষণ করেছেন। সুরিন্দর টিকু নামে সেই ব্যক্তির কথায়, “ব্রকোলি হল অসাধারণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সুতরাং, তা এনজয় করুন। আর এটা খেতেও বেশ সুস্বাদু।” এর পর নিজের পরিচয় দিয়ে ব্রকোলি খেতে উৎসাহও দিয়েছেন। বলেছেন, “আমি ১৯৭১ থেকে শাক-সব্জির চাষ করছি। বিশ্বাস করুন, এতে কোনও ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইন রাক্ষস লুকিয়ে নেই।” সঙ্গে ব্রকোলি নিয়ে তাঁর জ্ঞানও উজা়ড় করে দিয়েছেন সুরিন্দর। তাঁর মন্তব্য, “ব্রকোলি আর ফুলকপির মধ্যে জিনগত ফারাক আছে।” তবে এত কথার ফাঁকে এটা জানা যায়নি, শেষমেশ অভিষেক ওই স্যালাড খেয়েছেন কি না!