‘‘কে ঋষি কপূর, কে অনুপম খের? ওদের কথায় কিছু যায় আসে না।’’ এভাবেই বলিউডে তাঁর বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন গজেন্দ্র চৌহান। গজেন্দ্র বিতর্কে শুক্রবার অনুপম খেরের পথেই হেঁটেছিলেন ঋষি কপূর। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-র শীর্ষ পদ থেকে গজেন্দ্র চৌহানের স্বেচ্ছা অবসরের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন ঋষি। টুইটারে তিনি জানিয়েছিলেন, পড়ুয়ারাই গজেন্দ্রকে আর চাইছেন না। এ অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ওই পদ আঁকড়ে থাকার কোনও মানে নেই। বরং নিজের সম্মান বজায় রেখে নিজে থেকে গজেন্দ্রর সরে যাওয়া উচিত্। তারই পালটা দিলেন গজেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার পুণের সিংহাসন থেকে ‘যুধিষ্ঠির’কে সরানোর দাবি তুলেছিলেন অনুপম। তার আগে ইউটিউব-বার্তায় রণবীর কপূরও পুণের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘‘প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে এমন কেউ আসুন, যাঁকে দেখে ছাত্রছাত্রীরা অনুপ্রাণিত হবেন।’’ অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীরও একই মত।
তবে গজেন্দ্রর পাশেও দাঁড়িয়েছেন বলিউডের একাংশ। মহাভারতের ‘দ্রৌপদী’ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এখন পশ্চিমবঙ্গের দাপুটে বিজেপি নেত্রী। তিনি চান, গজেন্দ্রকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হোক। গজেন্দ্রর হয়ে সরব ‘ভীষ্ম’ মুকেশ খন্নাও। তিনি সরাসরি নিশানা করেছেন ছাত্রদের। তাঁর দাবি, ‘‘সরকার যাঁকে খুশি নিয়োগ করতে পারে। তাতে ছাত্রদের কিছু বলার অধিকার নেই। সমস্যা পড়ুয়াদেরই। তারাই রাজনীতি করছে।’’
যদিও মুকেশের এই মন্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। সুপারহিরো ‘শক্তিমান’ চরিত্রে অভিনয় করা মুকেশ সম্প্রতি চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান পদে বসেছেন। গত প্রায় ১৫ বছর ধরে বিজেপির যাবতীয় প্রচারে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দলীয় আনুগত্যের প্রমাণ দিতে গিয়ে মুকেশ নিজের পদের ওজন ভুলে এমন বেফাঁস মন্তব্য করলেন কেন— প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।