সৌরভ চক্রবর্তী, মধুমিতা সরকার। ছবি: ফেসবুক।
স্মৃতি সব সময়েই বেদনার— এটা না-ও হতে পারে। এ ভাবেই ভাবতে ভালবাসেন সৌরভ চক্রবর্তী। তাঁর যুক্তি, “আমরা যখন দূর থেকে একটা পাহাড় বা নদীকে দেখি তখন তাকে সম্পূর্ণ দেখতে পাই। পরিপূর্ণ ভাবে দেখতে পাই বলেই সে শুধুই সুন্দর।” সৌরভের কাছে সম্পর্কও তেমনই। রবিবার প্রাক্তন স্ত্রী মধুমিতা সরকারের কথা বলতে গিয়ে এই উপমাই দিলেন তিনি।
কথাপ্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কম-এর মারফত বড় ঘোষণা, ২০২৬-এ তিনিও নতুন খবর শোনাতে চলেছেন অনুরাগীদের। নতুন কিছু ঘটতে চলেছে তাঁর জীবনেও। সৌরভের জীবনে কি প্রেম এসেছে? মনের মানুষকে খুঁজে পেয়েছেন তিনিও? প্রশ্ন রাখতেই মুখে কুলুপ অভিনেতার।
তবে প্রাক্তন স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর হৃদয়ে কোনও তিক্ততা নেই, সে কথা জোর গলায় জানিয়েছেন সৌরভ। পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, “আমরা এখন স্বাধীন দুটো মানুষ। আমাদের নিজস্ব জীবন, নিজস্ব ভাবনা। কেন অতীত আঁকড়ে বাঁচতে হবে?” অভিনেতা চান, অতীত অতীতের মতোই থাকুক। তার মানে এ-ও নয়, তিনি অতীতকে অস্বীকার করছেন। যেমন, মধুমিতা যখন স্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁর জন্মদিনের আগের রাতে কেক কেটে উদ্যাপন করতেন। কিংবা জন্মদিনের দিন মধুমিতার জন্য বিশেষ আয়োজন করা— এ সব কিছুই ভোলেননি। তার মানে এই নয়, সেগুলো ফলাও করতে বলতে হবে।
বরং তিনি মনে করেন, এতে বিড়ম্বনা বাড়বে। মধুমিতার হবু স্বামী দেবমাল্য চক্রবর্তী অস্বস্তিতে পড়তে পারেন। একই অনুভূতি তৈরি হতে পারে অভিনেত্রীর মনেও। প্রত্যেকের নিজের মতো করে বাঁচার, ভাল থাকার অধিকার আছে বলে মনে করেন তিনি।
খবর, চলতি বছরের শেষে হয়তো দেবমাল্য-মধুমিতার চার হাত এক হতে পারে। মধুমিতা আমন্ত্রণ জানালে সৌরভ সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন? একই ভাবে নতুন বছরে যদি সত্যিই তিনি নতুন জীবন শুরু করেন তা হলে কি তিনিও মধুমিতাদের ডাকবেন? অভিনেতার ঠোঁটের ডগায় জবাব অপেক্ষাই করছিল! তিনি বললেন, “মধুমিতা কী করবে না করবে সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যাপার। এ সব নিয়ে আমি বলার কে?” তার পরেই হাসতে হাসতে দাবি, “আমি তো এখনও জানাইনি যে, নতুন বছরে নতুন জীবনে প্রবেশ করছি কি না। ফলে, এ সব বলারও কিছু নেই।”