ধারাবাহিক ‘চিরসখা’য় সুদীপ মুখোপাধ্যায়, অপরাজিতা ঘোষ। ছবি: ফেসবুক।
কমলিনীর পরিবার দোটানায়। এত বছর পরে স্বতন্ত্র তাকে বিয়ে করেছে। পরিবারের সকলেই যে খুশি, এমনটা নয়। ধারাবাহিক ‘চিরসখা’র এই বিশেষ পর্ব মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমেও। দর্শকের অধিকাংশই যদিও নায়ক-নায়িকার পক্ষে।
সাধারণত, পাত্র-পাত্রী একটু বেশি বয়সে বিয়ে করলে সমাজ বিষয়টি খুব সোজা ভাবে দেখে না। পাত্রীর পরিবারও অনেক সময়েই খোলামনে মেনে নেয় না। যিনি ‘কমলিনী’ ওরফে অপরাজিতা ঘোষকে পর্দায় সিঁদুর পরালেন সেই ‘স্বতন্ত্র’ ওরফে সুদীপ মুখোপাধ্যায় এ ব্যাপারে কি বলছেন?
আনন্দবাজার ডট কম প্রশ্ন করেছিল অভিনেতার কাছে। তার সোজাসাপটা দাবি, “সমাজ বড় বালাই। কারণ, বন্ধু হিসাবে হাত ধরলেও ‘পরকীয়া’র তকমা দেওয়া হয়। সমাজের রক্তচক্ষু এড়াতেই স্বতন্ত্র-কমলিনীর মতো ‘চিরসখা’দের বিয়ে করতে হয়।” তাঁর আরও মত, একটা বয়সের পর শারীরিক কামনা-বাসনার চেয়েও পারস্পরিক নির্ভরতা, ভালবাসা বড় হয়ে ওঠে। ওই বয়সে আর বিয়ের প্রয়োজন পড়ে না।
কাহিনিকার-চিত্রনাট্যকার এবং অন্যতম প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় সেই জায়গাটিই তুলে ধরেছেন, মত অভিনেতার। “দর্শকও তাই স্বতন্ত্র-কমলিনীর বিয়ের দৃশ্য দেখে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রশংসা করেছেন”, বললেন সুদীপ। বরাবর যাঁরা পরস্পরকে ভালবেসেছেন, তাঁরা কেন এত দেরিতে সেই সম্পর্কে সিলমোহর দিলেন? সুদীপের যুক্তি, “সে কথা ধারাবাহিকে নায়ক সবিস্তার জানিয়েছেন। আসলে, সমস্ত দায়িত্ব মিটিয়ে তার পর এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের।” বাস্তবেও অনেক সময়ে এটাই হয়, জানাতে ভোলেননি তিনি।