সুন্দর রসায়নের দিকটা মাথায় রেখে পছন্দসই অভিনেতাদেরই কাস্ট করেন পরিচালকেরা। তবে পছন্দের রোলটার জন্য কখনও পরিচালকদের কাকুতিমিনতিও করতে হয় বৈকি। আজ তেমনই অভিনেতাদের কাহিনি জেনে নেব, যাঁদের একটা পছন্দের রোলের জন্য পরিচালকের অনুরোধ অবধি করতে হয়েছে।
একগুচ্ছ ছবিতে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার। তবে ‘প্যাডম্যান’-এর স্ক্রিপ্টটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মনে ধরে যায় লক্ষ্মীপ্রসাদের চরিত্রটি। যদিও লক্ষ্মীপ্রসাদের চরিত্রটির জন্য পরিচালকের পছন্দ ছিলেন অন্য কেউ। আর তাই প্রযোজক আর পরিচালককে রীতিমতো অনুরোধ অবধি করতে হয় অক্ষয়কে। আসলে প্রযোজক যে অক্ষয়েরই স্ত্রী, টুইঙ্কল।
বক্স অফিসে বাজিমাত করতে না পারলেও, ‘অক্টোবর’ ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তবে এই ‘অক্টোবর’-এর গল্পটা পরিচালকের মুখ থেকে শুনেই ভাল লেগে গিয়েছিল বরুণ ধবনের। আর তার পরই বরুণ অনুরোধ করেছিলেন সুজিতের কাছে, তাঁকেই যেন এই চরিত্রটা দেওয়া হয়।
কিছু দিন অভিনয় থেকে ব্রেক নিয়েছিলেন অভিনেতা ভিনিত সিংহ। কারণ, ‘মুক্কাবাজ’ ছবির স্ক্রিপ্টটি লিখছিলেন। আর লিখেই তা নিয়ে আসেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের কাছে। অনুরোধ করেন, তাঁকেই যেন এই ছবিতে নেওয়া হয়। অনুরাগ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, চেহারা যদি ওই চরিত্রের মতোই তৈরি করতে পারো তা হলে রোলটা তোমারই।
রণবীর সিংহের সঙ্গে ‘সিম্বা’ করতে চলেছেন, ঘোষণাই করে দিয়েছিলেন পরিচালক রোহিত শেঠি। আর তখনই প্রশ্ন ওঠে, রণবীর তো না হয় পাকা। কিন্তু নায়িকা কে? সারা আলি খানই সে সময়ে রোহিতকে ফোন করে তাঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। সঙ্গে সঙ্গে কাজটাও পেয়ে যান সারা।
আমির খানকেও নাকি কাজের জন্য এক পরিচালককে রীতিমতো অনুরোধ করতে হয়েছিল। আর সেই পরিচালক আমিরেরই বেটার হাফ কিরণ রাও। ‘ধোবি ঘাট’ ছবির অরুণে চরিত্রটি আসলে খুব পছন্দ হয়েছিল মিস্টার পারফেকশনিস্টের। আর তাই কিরণকে অনুরোধ করেই অরুণের চরিত্রে শেষ অবধি ডাক পান আমিরই।