কেমন আছেন অহনা ‘মিশকা’ দত্ত? ছবি: ফেসবুক।
অহনা দত্ত কি ভয় পাচ্ছেন? যিনি ছোট পর্দার দাপুটে খলনায়িকা, তাঁর নাকি মাঝেমধ্যেই হৃদস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে! তেমনটাই তো স্বাভাবিক। আসন্ন মাতৃত্ব তাঁকে শরীরে, মনে বদলে দিচ্ছে অনেকখানি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অগস্টের প্রথম সপ্তাহেই সন্তান পৃথিবীর আলো দেখবে। এখন আর ধারাবাহিকের শুটিং করতে পারছেন না। তা বলে বসে নেই ছোট পর্দার ‘মিশকা’। নিজেকে ফটোশুটে ব্যস্ত রাখছেন। এ দিকে স্বামী দীপঙ্কর সারা দিন ব্যস্ত। পেশায় রূপটানশিল্পী তিনি। অহনাকে তাই অনেকটা সময় একাই কাটাতে হয়।
সেখান থেকেই একটু একটু করে দুশ্চিন্তা জন্ম নিচ্ছে তাঁর মনে। আসন্ন মাতৃত্ব নিয়ে আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে অকপটে জানালেন অভিনেত্রী। বললেন, “মাঝে মাঝে বেশ ভয় করছে। শুনেছি পুরোপুরি অজ্ঞান করা হয় না! আমি কি তা হলে বুঝতে পারব পেট কাটা হচ্ছে? আমার ব্যথা লাগবে তো!” হবু মা তার পর নিজের ছেলেমানুষীতে নিজেই হেসে ফেলেছেন। জানিয়েছেন, তিনি নিজে ইউটিউবে দেখেছেন। দীপঙ্করও জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের সময় চোখের উপরে পাতলা কাপড় দিয়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া, কোমর থেকে পা পর্যন্ত অবশ করে দেওয়া হয়। ফলে, কোনও ব্যথাই তিনি অনুভব করতে পারবেন না। অহনা তাই এ সব চিন্তা ভেসে এলেই কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
যেমন, সদ্য তাঁর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। বিয়ের সাজে সেজে নতুন জীবনে পা রাখতে যাচ্ছেন নববধূ। নেপথ্যে ভেসে আসছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান, ‘কিছু ক্ষণ আরও না হয় রহিতে কাছে...’। অভিনেত্রীর হাতে বইয়ে ভিতর লুকোনো পুরনো চিঠি! সে চিঠি বইয়ের ভাঁজে রেখেই নতুন জীবনে এগিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী।
অহনারও অতীত ছিল নাকি? প্রশ্ন শুনে একটু থতমত খেয়েছেন। তার পরেই অট্টহাসি। কোনও মতে হাসি সামলে বললেন, “পর্দায় যতটা ‘স্পাইসি’ দেখানো হয়, ততটা নই আমি। আমার জীবনে কোনও মশলা, গুঞ্জন নেই। যাকে চেয়েছি তার সঙ্গেই ঘর বেঁধেছি।” কথা শেষের আগেই গর্ভস্থ সন্তান নাকি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ফেলেছে! ফোনের ও পার থেকে অহনা বললেন, “মায়ের পুরনো প্রেম নিয়ে কাটাছেঁড়া! দেখুন, গর্ভস্থ সন্তান পা ছুঁড়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে!”
একা কাটে সারা দিন। ভালমন্দ খেতে ইচ্ছে করলে কী করেন অহনা? সাধভক্ষণ পর্বের কথা উঠতে হাসি বুঝি ম্লান হল খানিক। অহনা বললেন, “সাধ খাওয়া কি খুব জরুরি? না খেলে কি সন্তানের উপরে কোনও প্রভাব পড়ে? আমায় তো এখনও কেউ সাধ খাওয়ায়নি।”
একটু থেমে যোগ করলেন, দীপঙ্কর তাঁকে প্রতি সপ্তাহে খাওয়াতে নিয়ে যান। এ ছাড়া, বাড়িতে রকমারি স্বাদের কেক, বিস্কুট, চকোলেট, নরম পানীয় গুছিয়ে রেখেছেন। “কেউ সাধ না খাওয়ালেই বা কী! ভাবছি আর কয়েক দিন পরে নিজেই ‘বেবি শাওয়ার’-এর আয়োজন করব”, বলত বলতে আবারও উচ্ছল হয়ে ওঠেন অহনা।