নতুন প্রজন্ম নিয়ে কী বললেন অনন্য়া? ছবি: সংগৃহীত।
‘জেন জ়ি’, অর্থাৎ সদ্য কিশোর থেকে ত্রিশের নীচে— এ মুহূর্তে এই বয়সসীমার মধ্যে যাঁরা পড়ছেন, সমাজমাধ্যমে তাঁদের নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকে। তথাকথিত সমাজের একটা অংশের কাছে এঁরা উদ্ধত, এঁদের মনের স্থিতিশীলতা নেই। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এ নিয়ে মুখ খুললেন অনন্যা পাণ্ডে। তিনি নাকি এই ‘জেন জ়ি’ প্রজন্মের অন্যতম পছন্দের অভিনেত্রী।
১৯৯৭ সালের পরে এবং ২০১২ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁরাই ‘জেনারেশন জ়ে়ড’। এই প্রজন্মের আদবকায়দা, আচার-আচরণ— সব নিয়ে সর্বদাই সরগরম থাকে সমাজমাধ্যম। অভিযোগ করা হয়, সম্পর্কের ব্যাপারে এদের নাকি কোনও স্থিরতাই নেই! এদের অভিধানে সম্পর্কের নানা নাম। সেজন্য সদা সমালোচিত হয় এই প্রজন্ম। তবে অনেকে আবার মনে করেন, সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে এই প্রজন্ম প্রথম থেকেই সচেতন। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে জানে। কর্মজগতেও এই ‘জেন জ়ি’দের নিয়ে নাকি নাজেহাল সংস্থাগুলি। কারণ, এই প্রজন্ম জানে, কোনটা ঠিক কোনটা ভুল। প্রথম চাকরি থেকেই তারা নাকি শ্রম আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তাঁরা। তাই প্রয়োজনে ‘না’ বলতে সক্ষম তারা। একই কথা মনে করেন অনন্যাও। তাঁর মতে, ঠিক এই ভাবেই তাঁর ছবি ‘খো গয়ে হম কহাঁ’ ছবিতে ‘জ়েড’ প্রজন্মকে তুলে ধরা হয়েছে।
অনন্যার দাবি, অন্য বেশ কিছু ছবিতে একেবারে ভুল ভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই প্রজন্মকে। কিন্তু ‘খো গয়ে হম কহাঁ’ ছবিতে একেবারে সঠিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে তাদের। অভিনেত্রী বলেছেন, “এই ছবিটা সকলের ভাল লেগেছে। কারণ, শেষ পর্যন্ত কোনও হিন্দি ছবিতে আমাদের সঠিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমার নিজেরই খুব আনন্দ হয়েছিল।”
এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পরে সকলের থেকেই বিশেষ প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন অনন্যা। অভিনেত্রী নিজেও এই ছবির চরিত্রগুলির সঙ্গে যোগ খুঁজে পেয়েছিলেন বলে জানান। এই ছবিতে অনন্যার সঙ্গে অভিনয় করেছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, আদর্শ গৌরব ও কল্কি কেকলাঁ।