ঘণ্টাতিনেক কার জন্য কাঁদেন সঞ্জয়? ছবি: সংগৃহীত।
অতিমারির সময়। দেশ জুড়ে লকডাউন। সেই সময় ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। একবারে তৃতীয় পর্যায়ে এসে ধরা পড়ে। জীবনে অনেক ওঠাপড়া দেখেছেন সঞ্জয়। তারকাসন্তান হয়েও ছাড় পাননি। বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে একাধিক বার জেল খাটতে হয়েছে তাঁকে। তবে ক্যানসার হয়েছে শোনামাত্র আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। টানা ৩ ঘণ্টা কেঁদেছিলেন অভিনেতা।
আর পাঁচটা দিনের মতোই সে দিন সকালে উঠেছিলেন। যদিও শ্বাসকষ্ট ছিল। স্নান করেন। স্নান সারতে না সারতেই কষ্ট বাড়তে থাকে। সেই সময় লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। জানা যায়, তাঁর ফুসফুসে নাকি জল জমেছে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, তাঁর যক্ষ্মা হয়েছে। পরে অবশ্য বেশ কিছু পরীক্ষা করতে জানতে পারেন, তাঁর ফুসফুসে ক্যানসার হয়েছে। শোনামাত্র কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেতা। বোন প্রিয়া দত্ত ছুটে আসেন।
পরে সঞ্জয় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি তিন ঘণ্টা কেঁদেছিলাম। খালি ভেবেছি, আমার সন্তানদের কী হবে, আমি আদৌ বাঁচব তো! আমার স্ত্রীর কী হবে?’’ তার পর পরিচালক রাকেশ রোশনের সহযোগিতায় আমেরিকায় গিয়ে চিকিৎসা করান অভিনেতা। কেমোথেরাপি নিয়েছেন। তবু চুল পড়েনি, শরীর ভাঙেনি। যদিও কেমো নিতে দুবাই যেতেন তিনি। সঞ্জয় বলেন, ‘‘কেমোর পর সাইকেল চালিয়েছি। এমনকি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাডমিন্টন খেলেছি।’’ প্রায় চার বছর হয়ে গিয়েছে। এখন অবশ্য অনেকটাই সুস্থ অভিনেতা।