অসম বয়সি প্রেমের গল্পে দেবলীনা-সৌরভ। ছবি: সংগৃহীত।
মাথায় ঘন কালো, কোঁকড়ানো চুল। নীলরঙা চোখ। মাথায় স্কার্ফ বাঁধা। ইনি অ্যাঞ্জেলিনা। চেহারার গড়ন , চোখের মণি দেখে তাঁকে বিদেশিনি মনে হলেও তিনি আদ্যোপান্ত বাঙালি। আসলে অ্যাঞ্জেলিনার বাবা বাঙালি আর মা ফরাসি। ভাঙা বাংলায় কথা বললেও রবীন্দ্রসাহিত্য তাকে ভীষণ টানে। বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে। শান্তিনিকেতনে তার বাস। এই বিদেশিনির প্রেমে হাবুডুবু বছর আঠাশের প্রান্তিক। সে বিশ্বভারতীর ছাত্র। এই অসমবয়সী প্রেমের কি কোনও পরিণতি আছে? কিংবা আদৌ কি অ্যাঞ্জেলিনা-প্রান্তিক এই সম্পর্কের পরিণতি দিতে ইচ্ছুক? এই মোড়কেই একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যর ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক অংশুমান চক্রবর্তী। ছবির নাম ‘ফেয়ারি টেল’। ভরা গরমে বোলপুরে শুটিং করেছেন তাঁরা।
এই দেবলীনাকে চিনতে পারছেন? ছবি: সংগৃহীত।
এই ছবির জন্য রীতিমতো ফরাসি ভাষা শিখতে হয়েছে দেবলীনাকে। আনন্দবাজার ডট কমকে তিনি বললেন, “এ রকম অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। সম্পূর্ণ ফরাসি টানে ইংরেজি বলেছি। বাংলাও ভাঙা-ভাঙা বলেছি। এ দিকে রবীন্দ্রনাথ কিন্তু মুখস্থ অ্যাঞ্জেলিনার।” শান্তিনিকেতনে আসার আগে পর্যন্ত ফ্রান্সেই থাকত অ্যাঞ্জেলিনা। এখানে এসে অসমবয়সি প্রেমের কাহিনি ফুটিয়ে তুলবেন পরিচালক। অভিনেত্রী যোগ করেন, “খুব মনযোগ সহকারে ভাষার প্রতি নজর দিয়েছি আমি। একাগ্রতার সঙ্গে শিখেছি।” প্রথম বার অভিনেত্রীকে এই ভাবে দেখবেন দর্শক। অর্ধেক ফরাসি এবং অর্ধেক বাঙালি।
বোলপুরে শুটিংয়ের মুহূর্তে দেবলীনা। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেতা সৌরভ দাসের সঙ্গে আগে অনেক কাজ করেছেন দেবলীনা। কিন্তু এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি দু’জনের কাছেই এক অন্য অভিজ্ঞতা। অসমবয়সি প্রেম নিয়ে অনেকের অনেক মত থাকে। যদিও দেবলীনা প্রেমকে শুধুই ভালবাসায় সীমাবদ্ধ রাখতে চান অভিনেত্রী। দেবলীনা বললেন, “সম্পর্কে বয়সের ফারাক হোক কিংবা সমলিঙ্গের প্রেম হোক, সেখানে ভালবাসাই মুখ্য। তাই প্রেমকে আর কোনও ভাবে ব্যাখ্যা করতে রাজি নই আমি।” এই ছবিতে এক দিকে যেমন দেবলীনা এবং সৌরভের অসমবয়সি প্রেম, তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত দেখবেন দর্শক, তেমনই আবার পর্দার প্রান্তিকের জীবনে রয়েছে রশ্মি। এ প্রসঙ্গে সৌরভ বললেন, “সব সম্পর্কের কি পরিণতি থাকে? এখানেও কোনও পরিণতির খোঁজ আমরা করছি না। বরং রশ্মি এবং অ্যাঞ্জেলিনা— দু’জনের সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য কী ভাবে বজায় রাখবে আমার চরিত্র, সেটাই মজার।” এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি ছবি মুক্তির দিনক্ষণ।