কেন বড় করে পুজো করলেন না ইন্দ্রাণী? ছবি: সংগৃহীত।
মহাপ্রভুর আশীর্বাদে জীবনে অনেক কিছু পেয়েছেন। রথযাত্রার দিন প্রাণভরে জগন্নাথদেবের সেবা না-করলে তাঁর মন কিছুতেই মানে না। আগে ধুমধাম করে জগন্নাথদেবের পুজোর আয়োজন করতেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। এখন আর অত লোক ডেকে, আড়ম্বর করে পুজোর পরিকল্পনা করতে রাজি নন অভিনেত্রী। আতিথেয়তা করতে গিয়ে মহাপ্রভুর সেবায় মন দিতে পারেন না। তাই নিজের মতো করে রথযাত্রার দিন পুজোর আয়োজন করেন তিনি।
বহু দিন হল ধরাছোঁয়ার বাইরে ইন্দ্রাণী। পর্দায় তাঁকে প্রায় দেখাই যায় না। ফোনেও প্রায় অধরা। জগন্নাথের সেবা করে এসে তখন সবে বিশ্রাম নিচ্ছেন অভিনেত্রী। আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বললেন, “এখন আর অত পারি না। ফ্ল্যাটবাড়িতে একটু সমস্যাও হয়। আর বেশি লোকজন হয়ে গেলে মহাপ্রভুর সেবা ঠিক করে হয় না। আতিথেয়তা করতে অনেক সময় চলে যায়।”
পুরোহিত ডেকে নয়, নিজেই জগন্নাথের পুজো করেন অভিনেত্রী। এত বছর ধরে অল্প অল্প করে মহাপ্রভুর গয়না গড়িয়েছেন প্রতি বছর রথের দিনে। ইন্দ্রাণী যোগ করলেন, সোনার গয়না আর নতুন বস্ত্রে সাজিয়েছেন তাঁর জগন্নাথকে। বললেন, “নিজের হাতে সব কিছু রান্না করেছি। অষ্টগন্ধা, গোলাপজল দিয়ে প্রথমে স্নান করিয়েছি। ইসকন থেকে আতর আনি প্রতি বছর। সেটাই ছিটিয়ে দিই।” ভোগে ছিল মিঠা ডালি (ওড়িশার খাবার), বাসমতী পোলাও, পনিরের তরকারি, খেজুর আমসত্ত্বের চাটনি, মালপোয়া আর রাবড়ি। তাঁর কথায়, মহাপ্রভু পাশে না থাকলে তিনি জীবনে এগোতেই পারতেন না।
ইন্দ্রাণী বললেন, “অনেক দিন ধরে পুরীতে ফ্ল্যাট কেনার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু কিছুতেই হচ্ছিল না। একটা বাড়ি তো পছন্দও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, শেষমেশ তাতে বাধা পড়ে যায়। মনখারাপ করে কলকাতায় ফিরে আসি। তার পরেই আসে সুখবর। মহাপ্রভুর ইচ্ছায় নিজের পছন্দমতো ফ্ল্যাট পাই পুরীতে। জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ ছাড়া এটা সম্ভবই হত না।”