কবীর আর কাব্যকে নিয়ে কেমন কাটবে কোয়েলের দুর্গাপুজো? ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতার মল্লিক বাড়ির পুজো ১০১ বছরের পুরনো। সেই বাড়ির মেয়ে অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। পুজোর চার দিন বাড়ির বাইরে কাটানোর কথা ভাবতেই পারেন না তিনি। নায়িকা এখন দুই সন্তানের মা। মেয়ে কাব্যর এটাই প্রথম পুজো। তবে ছেলে কবীর এখন পুজোর গন্ধ, আনন্দ বুঝতে শিখে গিয়েছে বলে মায়ের দাবি। প্রতি বছরই পুজোয় শাঁখ বাজানোর দায়িত্ব থাকে কোয়েলের কাঁধে। সেই দায়িত্ব যে তিনি মন দিয়ে পালন করেন, সেই ছবি দেখা যায় প্রতি বছর। মা হওয়ার পর থেকে দুর্গাপুজো অনেকটাই বদলে গিয়েছে তাঁর কাছে।
কোয়েলের মহালয়া, পুজো— সব কিছুই এখন কবীর এবং কাব্যকে ঘিরে। মা-কে প্রায় প্রতি বছর ছোটপর্দায় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ রূপে দেখে খুব উপভোগ করে নায়িকার পাঁচ বছরের ছেলে। মা দুর্গা দুষ্টের দমন করেন, ছোট থেকে এই কথাই বার বার বলা হয়। ছেলেকেও সেই কথা বুঝিয়েছেন অভিনেত্রী। এই বছরেও স্টার জলসায় ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ রূপে দেখা যাবে তাঁকে।
কিন্তু মায়ের সঙ্গে অসুরের যুদ্ধ দেখে ভয় পেয়ে যায় ছোট্ট কবীর। পুজোর আগে আনন্দের সঙ্গে ছেলের গল্প বললেন নায়িকা। কোয়েল জানালেন, কবীরকে দেখে নিজের ছোটবেলা খুঁজে পান নায়িকা। হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বললেন, “মা-কে কেউ কষ্ট দিচ্ছে, তা কি কোনও সন্তান সহ্য করতে পারে? কবীর আগের বার ভয় পেয়েছিল। এ বছর অসুর হিসাবে দেখা যাবে ইন্দ্রজিৎ বসুকে। শুটিংয়ের আগে তাই কবীরের সঙ্গে ভাব করিয়ে দিয়েছিলাম পর্দার অসুরের!” কোয়েলকে দেখে এখন ছোট্ট কবীরের একটাই প্রশ্ন, মা দুর্গার বেশি শক্তি, না কি মায়ের শক্তি বেশি? ছেলের এমন সব প্রশ্নে মাঝে মাঝে কোয়েল কী জবাব দেবেন, বুঝে উঠতে পারেন না। নায়িকা বললেন, “ছোটদের এত প্রশ্ন থাকে। কিছুই বুঝতে পারি না কী বলব। এ বারেই তো কবীরকে বললাম, মা দুর্গার থেকে বেশি ক্ষমতা কি আর কারও আছে?” ২০২৪ সালের পুজোয় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন নায়িকা। একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, স্বামী নিসপাল সিং রানে এবং বাবা রঞ্জিত মল্লিকের হাত ধরে মায়ের বিসর্জন দিতে যাচ্ছেন নায়িকা। এক বছরে জীবন আরও অনেক বদলে গিয়েছে।
কোয়েল বললেন, “বাড়ির পুজো নিয়ে এখন কবীর খুব উত্তেজিত থাকে। বাবার থেকে কাঁসর-ঘণ্টা বাজানো শিখেছে। কিছুতেই থামে না। তার আবার এখন বোনু আছে। উপরি আনন্দ। কাব্যর জন্য জামা বানাতে এখনই দিয়ে দিয়েছি দর্জির কাছে। বানানো হচ্ছে। আমার শাড়ি, জামাকাপড়ের কথা সবার শেষে ভাবব। বাড়ির পুজোয় যে আনন্দ আমরা উপভোগ করতাম, কবীরকে দেখে সেই পুরনো কথাগুলো আরও বেশি মনে পড়ে। এখন ওকে একটু চোখে চোখে রাখতে হয়।” গত বছর আরজি কর কাণ্ডের আবহে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল মল্লিক বাড়ির দরজা। কিন্তু এই বছর আর তা হচ্ছে না। দুই ছেলেমেয়ে-সহ সবাইকে নিয়ে বাড়ির পুজোয় মাতবেন কোয়েল।