অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্গাপুজোর চারদিন নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য সালোঁয় ভিড় জমান সবাই। ইদানীং অবশ্য বাজারে ‘ফিলার্স’-এর বাড়বাড়ন্ত। সম্প্রতি এমনই একটি ‘বিউটি ক্লিনিক’-এর মুখ হয়েছেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন ক্লিনিকে গেলে নাকি সৌন্দর্য বাড়ানোর হদিশ মিলবে। এই মুহূর্তে টলিপাড়ার নায়িকাদের অনেকেই নাকি ‘বোটক্স’, ‘ফিলার্স’ করান। কনীনিকাও কি সেই পথে হাঁটবেন?
বেশ কিছুদিন আগে অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বিপুল সমালোচনা হয়েছিল। দর্শকের একাংশের মনে হয়েছিল নায়িকা বুঝি ঠোঁটে কিছু করিয়েছেন। এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানদেরও। যদিও তাঁদের মতে, এগুলো সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়।
এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যেমন বলেছিলেন, “নিজের সৌন্দর্য বিকৃত না করে যেটুকু করা প্রয়োজন সেটুকুই করা উচিত।” তবে কনীনিকার দাবি, তিনি এত সাহসী নন। হলিউড, বলিউডের নায়িকারা বহু আগেই এই পথ বেছেছেন। কেউ নাক ঠিক করান, তো কেউ ঠোঁট।
কনীনিকা বললেন, “বোটক্স করাতেই হবে, সেই প্রয়োজনীয়তা আমি অনুভব করি না। তবে এই যে ক্লিনিকের সঙ্গে আমি যুক্ত হয়েছি, সেখানে যাতায়াতের ফলে বুঝেছি, নিজেকে সময় দেওয়া জরুরি। সাজিয়ে রাখা জরুরি। তাতে আত্মবিশ্বাসও অনেকটা বেড়ে যায়।” তবে আন্তর্জাতিক অভিনেত্রীদের মতো, চামড়া ঝুলে গেলে তা সূচ ফুটিয়ে ঠিক করার মতো সাহস যে তাঁর নেই, স্বীকার করতে দ্বিধা করলেন না কনীনিকা।