লাবণী ভট্টাচার্যের মেয়ে অশ্লেষা এ বার বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয়ে। ছবি: ফেসবুক।
জন্মের আগে থেকেই সে ‘ভাইরাল’। এখন বয়স মাত্র এক বছর। এই বয়সেই অশ্লেষা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের ‘নায়িকা’! জিৎ চক্রবর্তীর আগামী ছবি ‘বাবা’তে অভিনেত্রী লাবণী ভট্টাচার্যের একরত্তি কন্যাকে দেখা যাবে। বাবা-মেয়ের গল্পে নায়কের কন্যা সে। ছবি জুড়ে সে আর বিক্রম অনেকটা থাকবেন। শোনার পর থেকেই আনন্দে মেঘমুলুকে পৌঁছে গিয়েছেন অভিনেত্রী মা। ইতিমধ্যেই বিক্রমের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ হয়ে গিয়েছে অশ্লেষার।
“অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে সাময়িক অবসরে। মেয়েকে একটু বড় করার পর হয়তো আবার ফিরব”, আনন্দবাজার ডট কম-কে বললেন লাবণী। তার আগেই মেয়ে যে বিনোদন দুনিয়ায়! চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে ছবির শুটিং শুরুর কথা। স্টুডিয়োয় মেয়ে বিক্রমের সঙ্গে অভিনয় করবে। অভিনেত্রী মা তার সাক্ষী। অথচ নিজে ক্যামেরার মুখোমুখি দাঁড়াতে পারবেন না। একটু মনখারাপ হবে? অস্বীকার করেননি লাবণী। অকপটে বলেছেন, “তা তো হবেই। আমিও রক্ত-মাংসের মানুষ। যে কাজ ভালবেসে করেছি সেই কাজ করতে পারব না, কষ্ট তো হবেই!” পর ক্ষণেই গলায় খুশির আমেজ। জানালেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন। তার সবটা পূরণ হয়নি। মন থেকে চাইছেন, যেন সেই স্বপ্ন অশ্লেষা পূরণ করতে পারে।
অশ্লেষাকে সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয় করার ফলাফল তা হলে সার্থক? লাবণীর কাছে প্রশ্ন ছিল।
তাঁর জবাব, “জিৎদার স্ত্রী আমার স্বামীর সহপাঠী। তিনিই পরিচালককে অশ্লেষার কথা বলেছেন। ওঁরা আমাদের পারিবারিক বন্ধু। তাই সমাজমাধ্যম নয়, বন্ধুত্বই মেয়েকে বড়পর্দায় নিয়ে আসছে।” বলতে বলতে তিনি ফিরে গিয়েছেন অতীতে। লাবণী নিজেও বড়পর্দা, ছোটপর্দা মিলিয়ে অনেক কাজ করেছেন। যেমন, ধারাবাহিক ‘দীপ জ্বেলে যাই’, ‘মোহর’, ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’, ‘আমি সিরাজের বেগম’, ‘বৌমা একঘর’-এ কখনও দ্বিতীয় নায়িকা কখনও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিনয় করেছেন সুজিত মণ্ডলের ‘তুমি আসবে বলে’ ছবিতে। মেয়েকে প্রথমেই বিক্রমের সঙ্গে বড়পর্দায় দেখা যাবে, এতটাও আশা করেননি। লাবণী তাই খুশিতে ভাসছেন।
একটু থেমে আরও যোগ করেছেন, “একটি কাজের জন্য আমি নির্বাচিত। আমার অভিনয় পছন্দ পরিচালকের। হঠাৎ শুনতে হল, আমার নাকি অনুসরণকারীর সংখ্যা কম! শুনে জেদ চেপে গিয়েছিল। নিজেকে প্রমাণ করতেই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ভ্লগ করা শুরু করি। এখন মেয়েও আমার সঙ্গী।” যাঁরা অশ্লেষাকে ভালবাসেন তাঁরা রোজ একরত্তিকে সমাজমাধ্যমে দেখতে চান, চাপা গর্ব লাবণীর গলায়। এতে যে শৈশব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে...! মানতে নারাজ নেটপ্রভাবী অভিনেত্রী। পাল্টা যুক্তি দিলেন, “অশ্লেষার হাতে কিন্তু ফোন দিই না। গান গেয়ে, ছড়া শুনিয়ে ঘুম পাড়াই। আর একটু বড় হলে আমরা আরও সজাগ হব। আগামী দিনে অভিনয়কে পেশা বাছলেও আগে পড়াশোনা করতে হবে ওকে।”
কথা দিলেন, যে দিন সমাজমাধ্যমে অশ্লেষাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য দেখবেন সে দিন থেকে মেয়েকে নিয়ে ভিডিয়ো বানানো ছেড়ে দেবেন।