ফের বিতর্কে মমতা কুলকার্নি। ছবি: সংগৃহীত।
মহাকুম্ভে চমকে দিয়েছিলেন মমতা কুলকার্নি। ৯০-এর দশকের অভিনেত্রী হঠাৎই এই ধর্মীয় মহাসমাগমে গিয়ে সন্ন্যাস নিয়েছিলেন, কিন্নর আখড়া থেকে পেয়েছিলেন মহামণ্ডলেশ্বর আখ্যা। তা নিয়ে বিতর্কও হয় বিস্তর। মমতা আদৌ এই পদ পাওয়ার যোগ্য কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল কিন্নর আখড়ার অন্দরে।
একবার পদ ত্যাগ করে ফের নিযুক্ত হয়েছিলেন মমতা। তবে সম্প্রতি পাকাপাকি ভাবে মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে সরে এলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। কিন্তু সন্ন্যাসে সফরে তিনি ইতি টানবেন না, জানিয়েছেন এমনই।
আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ও কিন্নর আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাসের মধ্যে কলহের কারণে মমতাকে সরে আসতে হয়েছে এই পদ থেকে। তাঁর মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এই বিতর্ক নিয়ে প্রথম বার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন মমতা কুলকার্নি।
প্রাক্তন অভিনেত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সব কিছুই ঈশ্বরের হাতে। তাঁর কৃপাতেই আমি কুম্ভের মতো পবিত্র সমাগমে গিয়ে মহামণ্ডলেশ্বর হয়ে উঠতে পেরেছিলাম।” ২৫ বছর ধরে তপস্যা করার জন্যই এমন ফল পেয়েছেন বলে দাবি মমতা কুলকার্নির। তপস্যার ফলস্বরূপই মহামণ্ডলেশ্বর হতে পেরেছিলেন তিনি।
আধ্যাত্মিক সাধনায় নিজেকে ডুবিয়ে রাখতে চান বলে সমস্ত জাগতিক বিষয় থেকে নিজেকে সরিয়ে এনেছেন বলেও দাবি করেন মমতা। নতুন জীবনে নাম বদলে হয়েছেন ‘শ্রী ইয়ামাই মমতা নন্দগিরি’। অভিনেত্রীর সমাজমাধ্যমেও চোখ রাখলেও দেখা যায়, তিনি সমস্ত জাগতিক বিষয় থেকে সরে এসেছেন। তাঁর সমাজমাধ্যমে পাতা জুড়ে কেবলই ধ্যানের ছবি। যদিও মমতার সন্ন্যাস সফর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন একাধিক যোগ গুরু।