নাম না করে শ্বেতার দিকে আঙুল মৌমিতার? ছবি: সংগৃহীত।
ক্যামেরার সামনে ‘হাতকাটা’ পোশাক পরতে রাজি নন শ্বেতা ভট্টাচার্য। সম্প্রতি এক পডকাস্টে ব্যক্তিগত মতমত জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তার পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। এ বার নাম না করে শ্বেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উগরে দিলেন অভিনেত্রী মৌমিতা চক্রবর্তী।
ছয় বছর আগে ‘কনক কাঁকন’ ধারাবাহিকের শুটিংয়ে কী ঘটেছিল? ২০১৯ সালে ‘ব্লুজ প্রোডাকশন’ প্রযোজিত ‘কনক কাঁকন’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। সেই কাহিনিতে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল মৌমিতার। সেই কথামতো শুটিংয়ে গিয়েছিলেন মৌমিতা। সেখানেই অপমানিত হতে হয় তাঁকে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি কারও নাম উল্লেখ করতে চান না। কিন্তু সম্প্রতি এক অভিনেত্রীর বক্তব্য নিয়ে খুবই আলোচনা হচ্ছে, তাই তাঁর সঙ্গে হওয়া অন্যায় আর চেপে রাখতে পারলেন না তিনি।
মৌমিতার ফেসবুক পোস্ট। ছবি: ফেসবুক।
মৌমিতা যোগ করেন, “যে অভিনেত্রী নিজেকে খুব পারদর্শী ভাবেন, সেই বিষয়ে আমি বলার কেউ নই। কিন্তু মানুষ হিসাবে যে তিনি খুব ভাল, সে কথা বলতে পারছি না। কারণ, আমার অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ। ফ্লোরে সবার সামনে যে ভাবে অপমান করা হয়েছিল সেই দিনের কথা এখনও মনে আছে।”
সাত বছর পরে কেন এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে বলছেন মৌমিতা? এত বছর পর তাঁর আর কোনও রাগ নেই। খারাপ লাগাও নেই। মৌমিতার মনে হয়েছিল, তিনি যেহেতু বহু দিন ধারাবাহিক বা ছবি থেকে দূরে, তাই এই বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি সেই অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকার শুনে মৌমিতার মনে হয়, তিনি নিজের ব্যক্তিগত মতামত দেওয়ার অছিলায় বাকিদের ছোট করছেন। তাই মৌমিতা রাগের বশে সবটা সমাজমাধ্যমের পাতায় লিখেছেন।
অভিনেত্রীর লেখায় স্পষ্ট, তিনি পরোক্ষ ভাবে শ্বেতার উদ্দেশেই সবটা লিখেছেন। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমের তরফে শ্বেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। মৌমিতার লেখায় স্পষ্ট, শ্বেতার জন্যই ধারাবাহিকের সেই চরিত্র থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় একমাত্র পাশে পেয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে-কে। তাই তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি মৌমিতা।
অভিনেত্রী তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় লিখেছেন, “২০১৮ সাল। কনক কাঁকন সিরিয়ালের সেট। প্রায় ২০০ জনের সামনে সেই সিরিয়ালের মিষ্টি মুখের দুই নায়িকার মধ্যে এক নায়িকা অভিনেত্রী আমাকে প্রকাশ্যে অপমান করলেন। আমি নাকি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে পারি না। সেই অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে হয়েছিল।” কাজ হাতছাড়া হলেও এই ঘটনার পর মৌমিতা সিদ্ধান্ত নেন, যা-ই হোক আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে কোনও কাজ তিনি করবেন না।