দাদা শঙ্কর ঘোষাল সম্বন্ধে কী জানালেন রত্না ঘোষাল? ছবি: ফেসবুক।
শনিবার রাতে আচমকা চর্চায় একটি ভিডিয়ো। প্রবীণ অভিনেতা শঙ্কর ঘোষাল ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ঝলকে তাঁর বক্তব্য, “সমস্ত টাকাপয়সা শেষ। ব্যাঙ্কে আর কিচ্ছু নেই। কী ভাবে দিন কাটছে আমিই জানি।” ওই ঝলকে তিনি এমনও দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে-বৌমা তাঁকে ঠিকমতো খেতে দেন না! ফোনে ডাকলে সাড়াও নাকি পান না তাঁদের। তাঁর নাতিকে (পৌত্র) নিয়েও খুবই চিন্তায় থাকেন। ঠিকমতো স্কুলে যাচ্ছে কি না, ঠিকমতো বাড়ি ফিরছে কি না— জানতে চান তিনি। কেউ তাঁকে সেই খবরটুকুও দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না!
পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক নেই তাঁর। ছেলে-বৌমা তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেন, এর আগেও তিনি একাধিক বার ভিডিয়োয় জানিয়েছেন। পাশাপাশি, টেলিপাড়া তাঁকে আর অভিনয়ের জন্য ডাকে না, সেই অভিযোগ তো রয়েইছে। শঙ্করের সঙ্গে কথা বলে এর আগে একাধিক খবর হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এ বার বিষয়টি যেন অন্য রকম। শঙ্কর তাঁর ভিডিয়ো মুছে দিয়েছেন। আনন্দবাজার ডট কম একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। শঙ্কর ফোন ধরেননি!
প্রবীণ অভিনেতার বোন রত্না ঘোষালও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। উত্তমকুমারের সঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। প্রয়াত অভিনেতা মহুয়া রায়চৌধুরী তাঁর প্রিয় বন্ধু ছিলেন। অভিনেতা দাদা কেমন আছেন? কেন ভিডিয়ো মুছলেন তিনি? কেনই বা ফোনে অধরা তিনি? জানতে চাওয়া হয়েছিল রত্নার কাছে।
রত্নার কথায়, “শনিবার দাদা ভিডিয়োয় বলেছেন। রবিবার সকালে ফোন করেন। সঙ্গে সঙ্গে দাদাকে বলি, টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি। তুমি হোম ডেলিভারি করে খাবার আনানোর ব্যবস্থা করো।” তখন শঙ্কর তাঁকে জানান, ছেলে-বৌমা এখনও খেতে দিচ্ছেন তাঁকে। তিনি ফিজ়িয়োথেরাপি করাতে চান। যাতে হেঁটে-চলে বেড়াতে পারেন। আবার শুটিং ফ্লোরেও যেতে পারেন। দাদার কথায় আপত্তি করেননি রত্না। তাঁর পাল্টা ক্ষোভ, “আগে দাদার সঙ্গে তাঁর ছেলে-বৌমা থাকতেন। অনেক দিন ওঁদের বাড়ি যাই না। জানি না পরিস্থিতির কতটা অবনতি হয়েছে। কিন্তু দাদা যখনই টাকা চান, আমি কিন্তু সাধ্যমতো পাঠিয়ে দিই। দাদা তবু খুশি হন না!”
প্রশ্নও তুলেছেন, ‘‘এ ভাবে ঘরের কথা বাইরে এনে আদতে কোনও লাভ হয় কি?’’
প্রবীণ অভিনেতা-দাদার প্রতি অভিনেত্রী বোনেরও অনুযোগ আছে। রত্না বলেছেন, “দাদারও বুঝেশুনে চলা উচিত। টাকা, জমি-বাড়ি— সব ছিল। সে সব শেষ। একটু বুঝেশুনে ওঁকেও চলতে হবে। সত্যিই যদি কাজের ইচ্ছা থাকে তা হলে বাড়িতে বসে ভিডিয়োয় ক্ষোভ না জানিয়ে নিজেকে সুস্থ করে স্টুডিয়োপাড়ায় যাওয়া উচিত। আমারও এগুলো দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়।” ‘মৌচাক’-খ্যাত অভিনেত্রীর মতে, আজকের দিনে নিজমুখে কাজ না চাইলে কেউ ডেকে কাজ দেয় না।