সন্দীপ্তা সেন। ছবি: সংগৃহীত।
আষাঢ় পড়তে না পড়তেই আকাশে মেঘের ঘনঘটনা। কখনও ঝিরঝিরে কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। বর্ষার জল-কাদা অনেক সময় যেমন কাজে বিঘ্ন ঘটায়, আবার আষাঢ় এলে কারও কারও মন ফুরফুরে হয়ে যায়। অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের প্রিয় ঋতু বর্ষা। বৃষ্টি এলেই তাঁর মন ভাল হয়ে যায়। আর বর্ষার দিনে যদি ছুটি পাওয়া যায় তা হলে তো কেল্লাফতে! বারান্দায় বসে বৃষ্টি উপভোগের আনন্দই আলাদা তাঁর কাছে। শীত, গ্রীষ্মর থেকেও বর্ষা তাঁর বড় প্রিয়। খিচুড়ি, ইলিশ মাছ ভাজার খাওয়ার বিলাসিতা ঠিক এ সময়েই করা যায়। এখন তিনি টলিপাড়ার ব্যস্ত নায়িকা। হাতে সময় কম। কখনও ওয়েব সিরিজ়ের শুটিং, কখনও আবার ছবির প্রচার। সব মিলিয়ে ব্যস্ততায় কাটে তাঁর। কিন্তু এই বর্ষার দিনে যদি একটা ছুটি পান নায়িকা, তা হলে তিনি কী ভাবে কাটাতে চাইবেন?
আনন্দবাজার ডট কমকে তিনি বললেন, “বর্ষা আমার খুব প্রিয়। বৃষ্টি হলেই মন ভাল হয়ে যায়। বাদলা দিনে ছুটি পেলে প্রথমেই দেরি করে ঘুম থেকে উঠব। ঘরে বসে বৃষ্টি দেখতে আমার খুব ভাল লাগে।” বাদলা দিনে বাড়িতে বসে বৃষ্টি উপভোগ করতে করতে সিনেমা দেখা, গান শোনা খুবই প্রিয় অভিনেত্রীর। সন্দীপ্তা যোগ করলেন, “নির্ভর করে কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। আবার একা থাকলে হয়তো অন্য ভাবে পরিকল্পনা করব।” অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভাজা খাবার সন্দীপ্তার মোটে পছন্দ নয়। কিন্তু পাতে ইলিশ মাছ ভাজা পড়লে মন্দ হবে না। আলু, ফুলকপির খিচুড়ি তাঁর খুব প্রিয়। ব্যস্ততার জীবনে একটা বর্ষার দিন পাওয়া কঠিন হয়।
সন্দীপ্তার ছোটবেলা বর্ষার দিনগুলোও ছিল অন্য রকমের। স্মৃতিকাতর অভিনেত্রী বললেন, “বৃষ্টির দিনেও আমাদের স্কুলে ‘রেনিডে’ হত না। আমি তো ছোটবেলায় অনেক খেলাধুলো করতাম। ভবানীপুরের বাড়িতে বড় গ্যারাজ ছিল আমাদের। বৃষ্টিতে পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে ফুটবল খেলতাম। সারা গায়ে কাদা-মাটি মেখে দারুণ মজা হত। তবে বর্ষায় কখনও প্রেম করিনি।” বর্তমানে ব্যস্ত দিনগুলোতে বর্ষার এমন দিন মাঝে মাঝেই মনে পড়ে সন্দীপ্তার।