আরও একবার হয়তো বায়োপিকে দেখা মিলবে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার। ছবি:সংগৃহীত।
ময়দানের তারকাদের নিয়ে বায়োপিক তৈরির ধুম চলছে যেন! আর সেই তারকা যদি হয় কোনও মহিলা, সে জায়গায় একটাই নাম বোধ হয় ঘোরা ফেরা করে। সেই নাম প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। আম আদমির তো বটেই, সেই তালিকায় রয়েছেন বলিউডের এক ঝাঁক পরিচালক।
পরিচালক রেবতি এস বর্মা পিটি উষার চরিত্রে চাইছেন কেবলই প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে। সেই জায়গায় দ্বিতীয় আর কোনও নামই মাথায় আসছে না পরিচালকের। বিগত দুই বছর ধরে লাগাতার প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে কথোপকথন চলছে রেবতি এবং তাঁর টিমের। রেবতির দাবি, পিটি উষার চরিত্রে অভিনয় করতে প্রিয়ঙ্কা উৎসুক। শুধু তাই নয়, স্ক্রিপ্টটাও বেজায় পছন্দ হয়েছে প্রিয়ঙ্কার। তবে হাতে এই মুহূর্তে অগুনতি প্রজেক্ট রয়েছে এই অভিনেত্রীর। কিন্তু পরিচালক যে নাছোড়বান্দা, প্রিয়ঙ্কা না হলে পিটি উষা চরিত্রের সদগতি সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন, দুর্গা ঠাকুর দেখতে মণ্ডপে রণবীর-আলিয়া-রানি
তবে স্প্রিন্ট কুইন পি টি উষার যদিও বায়োপিকে হ্যাঁ বলতে ঘোর আপত্তি ছিল। একটা সময় তো তাঁকে খেলোয়াড়দের থেকে বেশি চলচ্চিত্র পরিচালকেরা ফোন করতেন। সকলেরই দাবি ছিল প্রায় এক—একটা বায়োপিক। কিন্তু যতদিন না পর্যন্ত অলিম্পিক্সে একজন ভারতীয় অ্যাথলিট দেশে সোনা নিয়ে আসছেন, ততদিন উষা হ্যাঁ বলতে নারাজ ছিলেন। তারপর বহু কষ্টে উষাকে রাজি করিয়েছেন রেবতি।
আরও পড়ুন, বিগ বি’র কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে গিয়ে এই মহিলা কী করেছেন জানেন?
রেবতির মতে, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে পিটি উষার বেশ কয়েকটি দিকে হুবহু মিল রয়েছে। তবে এই ছবি এক্কেবারেই তথ্যচিত্র ধাঁচের হবে না বলে দাবি রেবতির। বরং পুরোদমের বিনোদনমূলক একটি ছবি হতে চলেছে এটি। পিটি উষার জীবনের বেশ কয়েকটি দিক নিয়ে তৈরি হবে এই বায়োপিক। একজন ক্রীড়াবিদ তো বটেই, সঙ্গে তিনি একজন মা, তিনি একজন কোচ—এই সমস্ত দিক উন্মোচিত হতে চলেছে ছবিতে।
স্প্রিন্ট কুইন পি টি উষা। ছবি:সংগৃহীত।
‘জীবনে বহু সংগ্রামের সিঁড়ি অতিক্রম করে পিটি উষা আজ সফল। কোনওরকম সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার ছাড়াই এগিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। আজকের দিনে যে পরিমাণ সাহায্য পিভি সিন্ধুরা পেয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে, তাঁর এক ফোঁটাও পিটি উষা পাননি। আর সেই চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে প্রিয়ঙ্কাকে করতে হবে হাজারো কসর়ত। কমপক্ষে এক বছর লেগে যাবে সেই ট্রেনিং শেষ করতে।’বললেন রেবতি।
এখন প্রিয়ঙ্কার কাছ থেকে গ্রিন সিগনালের অপেক্ষার দিন গুনছেন পরিচালক রেবতি এস বর্মা।