ভিকির কৌশলে মাত দর্শক। ছবি: ফেসবুক।
ভিকিই মানেই ‘ভিকট্রি’? ‘ছাওয়া’ মুক্তির পর থেকে মায়ানগরীতে এমনই গুঞ্জন। হওয়ার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। বক্স অফিসে ছাপ ফেলার পাশাপাশি দর্শকমনেও ভাল সাড়া ফেলেছেন অভিনেতা। ছবি দেখে সকলে এতটাই মুগ্ধ, ভিকির অভিনয় এতটাই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে তাঁদের, যে মানুষজন রাতারাতি মাটি খুঁড়ে গুপ্তধন আবিষ্কারের নেশায় মত্ত!
এমন ঘটনার সাক্ষী মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর। খবর, ছবি দেখার পর সেখানকার গ্রামবাসীরা নাকি রাতারাতি গুপ্তধনের সন্ধানে নামেন। তাঁদের মনে বিশ্বাস জন্মেছে, মোগল আমলের সোনার মুদ্রা আসিরগড় দুর্গের কাছে পুঁতে রাখা আছে, এখনও। এমন গুজব ছড়ানোর পরেই অতি উৎসাহী কিছু দর্শক লুকোনো ধনসম্পদের আশায় টর্চ আর মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে সারা রাত নির্দিষ্ট জায়গার মাটি খুঁড়তে শুরু করেন! এ-ও জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে খনন কাজ শুরু হয়। চলেছে রবিবার ভোর ৩টে পর্যন্ত।
খননকাজের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। তড়িঘড়ি পুলিশ এসে খননকাজ থামায়। গ্রামবাসীদের সতর্ক করে বলে, পর্দায় দেখানো গল্পের সব সত্যি নয়। আসিরগড় দুর্গে মরাঠা-মোগলের সংঘর্ষ হয়েছিল, এ ঘটনা সত্যি। সেই সময় প্রচুর লুটতরাজও চলেছিল। তার মানে এই নয়, সেই সম্পদ এখনও মাটির নীচে রয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের সাবধান করা হয়, অবাস্তব ঘটনায় প্রভাবিত হয়ে এই ধরনের কার্যকলাপ না করাই শ্রেয়। প্রশাসনকে না জানিয়ে মাটি খুঁড়ে এ ভাবে ধনসম্পদ খোঁজা আইনবিরোধী কাজ।