Ahona Dutta

অন্তঃসত্ত্বা সোহিনীর দুর্ঘটনা, নেটপাড়ায় কাটাছেঁড়া, নতুন মা অহনা কী বললেন নেটপ্রভাবীকে?

সন্তান গর্ভে থাকাকালীন রিল বানিয়েছেন, ভিডিয়ো করেছেন অহনা। যদিও লোকজনের কথায় পাত্তা দেননি কখনও। সোহিনীকে দিলেন কোন বার্তা?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৩৯
Share:

(বাঁ দিকে) সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায় (ডান দিকে) অহনা দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।

সমাজমাধ্যম জুড়ে সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে চর্চা। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন নিজের স্ফীতোদরে জগন্নাথের ছবি আঁকেন। সেই নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলে সমাজমাধ্যমে। সেই ঘটনার মাস কাটতে না কাটতেই অঘটন সোহিনীর জীবনে। দিনকয়েক আগে গর্ভপাত হয়ে যায় সোহিনীর। যদিও তাঁর পরিবারের তরফ থেকে দোষারোপ করা হয়েছে চিকিৎসককে। কিন্তু চিকিৎসকের কী দোষ, তা অবশ্য জানা যায়নি।

Advertisement

সোহিনী একজন নেটপ্রভাবী এবং সমাজমাধ্যমে তাঁর লক্ষ লক্ষ অনুসরণকারী। ফলে সকলেই জানতে চান, সোহিনীর এমন অঘটন ঘটল কী ভাবে! অনেকেরই প্রশ্ন তোলেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন কেন ‘রিল’ বানিয়েছেন, কেন ঘুরতে গিয়েছেন, কেন স্ফীতোদরে জগন্নাথের ছবি এঁকেছেন? এতটা না হলেও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এমনই কিছু কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী অহনা দত্তও। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমকে কী জানালেন অহনা?

পরিবার গাফিলতির অভিযোগ তুললেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দাবি, সোহিনীর ‘কনসিল্‌ড অ্যাক্সিডেন্টাল হেমারেজ’-এর কারণেই গর্ভপাত হয়েছে। এ দিকে, সমাজমাধ্যমে এই নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছেই। সদ্য মা হয়েছেন অহনা। বৃহস্পতিবার অহনার মা হওয়ার এক মাস পূর্ণ হল। তাই আর এক হবু মায়ের এমন যন্ত্রণার প্রতি যে তিনি সমব্যথী সেটাই জানিয়েছেন। অহনার কথায়, ‘‘আমিও দেখেছি সমাজমাধ্যমে কী হচ্ছে। আসলে মেয়েরাই ওকে বেশি গালমন্দ করছে। ও যা করেছে তার ঠিক-ভুল বিচার করছি না। কোনও মা নিজের সন্তানের ক্ষতি হোক তা চায় না। তবে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরের বার ওর নিশ্চই ফুটফুটে সন্তান হবে, এই কামনা করি।’’

Advertisement

অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন নানা ধরনের মন্তব্য ও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল অহনাকেও। অভিনয় করার পাশাপাশি ইদানীং নেটপ্রভাবী হয়ে উঠেছেন তিনিও। তাই সন্তান গর্ভে থাকাকালীন তিনিও ‘রিল’ বানিয়েছিলেন, ভিডিয়ো করেছিলেন। লোকজনের কথায় পাত্তা দিতে নারাজ অহনা। তিনি বলেন, ‘‘লোকে অনেক কথাই বলবে। আমি রিল করি কিংবা বাড়িতে বসে থাকি, লোকের কথা থামবে না। আমি লোকের কথা শুনে যেমন কখনওই কিছু বন্ধ করিনি, তেমন শুরুও করিনি।’’ এখন মেয়ে মীরাকে নিয়ে ব্যস্ত অহনা। নবজাতককে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো— এই সব নিয়েই কাটছে অহনার দিন। হ্যাঁ, ক্লান্তি আসছে। তবু কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement