Abhishek Bachchan

শুটিং সেটের জিনিস দিয়ে প্রোপোজ হোটেলের ব্যালকনিতে, কেরিয়ারের বৈষম্য ছায়া ফেলেনি অভি-অ্যাশের প্রেমে

ঐশ্বর্যার সরল স্বভাব এবং হাসির কাছে বাঁধা পড়েছিল তাঁর হৃদয়, পরে জানিয়েছিলেন অভিষেক। কিছু বছরের প্রেমপর্বের পরে অবশেষে প্রোপোজ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০ ০৮:৪৭
Share:
০১ ১৭

সলমন খান থেকে বিবেক ওবেরয়। তখন একের পর এক সম্পর্কের ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে এগোচ্ছেন ঐশ্বর্যা। সে সময় কাছের বন্ধু ছিলেন যে কয়েক জন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম অভিষেক বচ্চন। অবশ্য দু’জনের কেউই তখন জানতেন না এক দিন সেই বন্ধুত্ব বদলে যাবে দাম্পত্যে।

০২ ১৭

অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বর্যার প্রথম আলাপ ১৯৯৭ সালে। সে সময় অ্যাশ তাঁর জীবনের প্রথম ছবি ‘অউর প্যায়ার হো গ্যায়া’-তে ববি দেওলের বিপরীতে অভিনয় করছিলেন।

Advertisement
০৩ ১৭

শুটিং সেটে বন্ধু ববির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানেই প্রথম আলাপ হবু স্ত্রীর সঙ্গে। অবশ্য প্রথম আলাপে প্রেম বা মুগ্ধতার কথা পরবর্তী সময়ে বলেননি তাঁদের কেউই।

০৪ ১৭

এর পর অভিষেকের সঙ্গে ‘ঢাই অক্ষর প্রেম কে’ এবং ‘কুছ না কহো’ ছবিতে অভিনয় করেন অ্যাশ। কিন্তু তখনও অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বর্যার সম্পর্ক আটকে ছিল বন্ধুত্বের স্তরেই।

০৫ ১৭

কবে তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত, জানেন না বচ্চন দম্পতিও। বলেন, বন্ধুত্বের পথ ধরেই প্রেম এসেছে। কিন্তু অনেকে বলেন ২০০৫ সালে ‘বান্টি অউর বাবলি’ ছবিতে ‘কজরা রে’ আইটেম গানের শুটিং থেকেই কিউপিডের শরবিদ্ধ হন দু’জনে।

০৬ ১৭

তবে প্রেমের সূত্রপাত যেখান থেকেই হোক না কেন, ২০০৬-’০৭ থেকেই অভিষেক ও অ্যাশকে একসঙ্গে বেশি সময় কাটাতে দেখা যায়। ‘উমরাও জান’, ‘গুরু’, ‘ধুম টু’-র মতো ছবিতে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে গাঢ় হয় তাঁদের ঘনিষ্ঠতা।

০৭ ১৭

ঐশ্বর্যার সরল স্বভাব এবং হাসির কাছে বাঁধা পড়েছিল তাঁর হৃদয়, পরে জানিয়েছিলেন অভিষেক। কিছু বছরের প্রেমপর্বের পরে অবশেষে প্রোপোজ। কানাডার টরন্টো শহরে ‘গুরু’-র প্রিমিয়র শো-এর পরে দু’জনে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন। সেখানেই ঐশ্বর্যাকে প্রোপোজ করেন অভিষেক।

০৮ ১৭

অভিষেক জানান, কয়েক বছর আগে নিউ ইয়র্কের এক হোটেলের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তাঁর মনে হয়েছিল, ঐশ্বর্যার সঙ্গে জীবন কাটাতে পারলে মন্দ হয় না! সেই হোটেলের ওই একই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন অ্যাশকে।

০৯ ১৭

পরে এক সাক্ষাৎকারে অ্যাশ বলেছিলেন, হিরের আংটি নয়। অভিষেক তাঁকে প্রোপোজ করেছিলেন ‘গুরু’-র শুটিং সেটে ব্যবহার করা কোনও একটা জিনিস দিয়ে। তাঁর ওই স্বাভাবিক, অকপট আচরণই ভাল লেগেছিল অ্যাশের।

১০ ১৭

২০০৭-এর ১৪ জানুয়ারি বচ্চন পরিবারের বাড়িতে বাগদান হয় তাঁদের। এর পর দু’জনকে আরও বেশি একসঙ্গে দেখা যেতে থাকে প্রকাশ্যে। বচ্চনদের বাড়িতেও আসা যাওয়া শুরু করেন অ্যাশ।

১১ ১৭

দু’জনের বিয়ের আগে দেখা দেয় ‘মাঙ্গলিক-বিতর্ক’। শোনা যায়, ঐশ্বর্যের ঠিকুজির ‘মাঙ্গলিক’ দোষ কাটাতে নাকি তাঁকে আগে গাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর পর ‘ধুম টু’-তে হৃতিক রোশনের সঙ্গে ঐশ্বর্যার লিপ লক কিস নিয়েও নাকি আপত্তি উঠেছিল বচ্চন পরিবারে।

১২ ১৭

তবে সব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তাঁদের চার হাত এক হয় ২০০৭-এর ২০ এপ্রিল। হাই প্রোফাইল এই বিয়ে কয়েক দিন ধরে বিরাজ করেছিল শিরোনামে। সমাজের সব স্তরের মান্যগণ্য অতিথি অভ্যাগতদের নিয়ে অভিষেক-ঐশ্বর্যার বিয়ের আসর আক্ষরিক অর্থেই ছিল চাঁদের হাট।

১৩ ১৭

২০১১ সালের নভেম্বরে জন্ম তাঁদের একমাত্র মেয়ে আরাধ্যার। মা হওয়ার পরে ঐশ্বর্যা অনেকটাই সরে আসেন কেরিয়ার থেকে। কয়েক বছরের বিরতির পর আবার কাজে ফিরেছেন তিনি। তবে সামিল হননি এক নম্বর নায়িকা হওয়ার প্রতিযোগিতায়।

১৪ ১৭

একে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী, তার উপর কেরিয়ারের ধারে ও ভারে অনেকটাই এগিয়ে অভিষেকের থেকে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বিয়ে কি টিকবে? প্রশ্ন ছিল অনেকের। সব আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে দিব্যি আছে অভিষেক-অ্যাশের দাম্পত্য।

১৫ ১৭

সুপারস্টারের ছেলে হয়ে বলিউডের চোখে হয়তো অভিষেক ‘ব্যর্থ’। কিন্তু সংসারিক জীবনে ছায়া ফেলেনি দু’জনের কেরিয়ারের দ্বৈরথ। অভিষেক আর ঐশ্বর্যা দু’জনে দু’জনকে নিজের সেরা বন্ধু বলে মনে করেন।

১৬ ১৭

বিয়ের আগে অভিষেকেরও একাধিক সম্পর্ক ছিল। নব্বইয়ের দশকে তাঁর সঙ্গে বাগদান হয়ে গিয়েছিল করিশ্মা কপূরের। কিন্তু তার পরেও সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। শোনা যায়, অভিষেককে জামাই হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি ছিল করিশ্মার মা ববিতার। এর পর রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও অভিষেকের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল।

১৭ ১৭

কিন্তু অভিষেক ও ঐশ্বর্যা তাঁদের বিগত সম্পর্ককে আনেননি নিজেদের বর্তমান সমীকরণে। তাঁরা রয়ে গিয়েছেন বলিউডের পাওয়ার কাপলের দৃষ্টান্ত হয়েই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement