Aishwarya Rai Bachchan

বেশি বয়সে আরাধ্যার জন্ম দিতে কিসের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন ঐশ্বর্যা? সাক্ষী অমিতাভ

কন্যার জন্ম দেওয়ার সময় সবটুকু যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, জানালেন অমিতাভ বচ্চন। কী কী সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ১৭:১০
Share:

ঐশ্বর্যার জন্মদিনে স্মৃতির সরণি বেয়ে ১১ বছর আগে ফিরে গেলেন অমিতাভ -ফাইল চিত্র

সন্তান জন্মের পিছনে জড়িয়ে থাকে নারীর আত্মত্যাগ। দীর্ঘ যন্ত্রণার অধ্যায়। তারকা হয়েও খুব কম নারী প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তান প্রসবের ধকল নেন। তাঁদের এক জন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। ১ নভেম্বর তাঁর জন্মদিনে পুত্রবধূকে আবারও কুর্নিশ করলেন অমিতাভ বচ্চন।

Advertisement

দাদু অমিতাভের চোখের মণি, নাতনি আরাধ্যা। তার জন্ম দেওয়ার সময় সবটুকু যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্যা। সে কথা ভুলতে পারেন না বিগ বি। ঐশ্বর্যার জন্মদিনে স্মৃতির সরণি বেয়ে ১১ বছর আগে ফিরে গেলেন অমিতাভ। জানালেন, ঐশ্বর্যার মতো দৃঢ় চরিত্রের নারী তিনি দেখেননি। তুলে ধরলেন সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় অভিনেত্রীর সংগ্রাম, যা অনেকেই জানেন না।

একটু বেশি বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন অভিষেক-জায়া। আরাধ্যা যখন গর্ভে এল, তখন ৩৮ বছর বয়স ঐশ্বর্যার। বেশি বয়সে সন্তানধারণে এমনিই অনেক ঝুঁকি দেখা দেয়। তবে উদ্বেগ ছিল না ‘পোন্নিয়িন সেলভান’-এর নায়িকার। ইদানীং গর্ভধারিণীরা যেখানে অস্ত্রোপচার বা সি-সেকশনের দিকেই ঝোঁকেন, প্রাকৃতিক প্রসব (নরমাল ডেলিভারি) চেয়েছিলেন বচ্চন-বধূ। ব্যথার ওষুধ অবধি খাননি। ঐশ্বর্যার মাতৃত্বের শক্তির কাছে পিছু হটেছিল ক্লান্তি। অমিতাভ বলেন, “হাসপাতালে ভর্তির ১৪তম রাতে আমরা পৌঁছই। ১৬ দিনের মাথায় আরাধ্যার জন্ম দেয় ঐশ্বর্যা। ২-৩ ঘণ্টা প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করেছে ও, স্বেচ্ছায়। কোনও ব্যথার ওষুধ খায়নি। নরমাল ডেলিভারিরই ইচ্ছে ছিল ওর।”

Advertisement

সন্তান জন্মের পর দীর্ঘ বিরতিতে ছিলেন ঐশ্বর্যা। সম্প্রতি মণি রত্নম পরিচালিত ‘পোন্নিয়িন সেলভান ১’-এ অভিনয়ে ফিরলেন তিনি। বক্স অফিসে বিপুল সাড়া ফেলার পাশাপাশি দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে সেই দক্ষিণী ছবি। ঐশ্বর্যার অভিনয় দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক। সহ-অভিনেতা বিক্রমও জানান, ঐশ্বর্যার মতো মানুষ হয় না। রূপে-গুণে— সব দিক দিয়েই তিনি উদাহরণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement