কাজল ও অজয়ের মধ্যে কি চিড় ধরেছে? ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের আয়ু শেষ হওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকা উচিত। সারা জীবন কাটাতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা না থাকাই ভাল। মনে করেন কাজল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর এই মন্তব্য এখন আলোচনার কেন্দ্রে। এ বার অন্য এক সাক্ষাৎকারে ভালবাসা নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করলেন অজয় দেবগন। স্বামী-স্ত্রীর এমন মন্তব্য শুনে তাঁদের অনুরাগীরা প্রমাদ গুনছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, দম্পতির সম্পর্কে কি চিড় ধরছে?
সাক্ষাৎকারে অজয় দাবি করেছেন, বর্তমান প্রজন্মের প্রেম খুবই গা-ছাড়া। তেমন কোনও গভীরতা নেই। তাঁদের সময়ে প্রেমের মানে খুবই গভীর ও শক্তিশালী ছিল, দাবি অজয়ের। এখন সেই জোরালো ভাব নেই। এর পরেই অজয় জানান, তিনি আজকাল শুধু পোষ্যদের প্রতিই ভালবাসা অনুভব করতে পারেন। অভিনেতা বলেছেন, “ভালবাসা পাওয়ার মধ্যে এক অদ্ভুত সন্তুষ্টি রয়েছে। আমরা প্রেমে পড়লে যে অনুভূতি তৈরি হত, নতুন প্রজন্মেরও সেই অভিজ্ঞতা হোক, এমন চাইব। আজকাল ওই মাপের ভালবাসা শুধুই পোষ্যের প্রতি অনুভব করা যায়। এই ভালবাসাই শর্তহীন হয়ে থাকে। প্রার্থনা করব, মানুষেরও এমন অনুভূতি হোক।”
এই মন্তব্য করার সঙ্গে সঙ্গে নিজেরই বিরোধিতা করেন অজয়। তিনি বলেন, “আসলে এই ধরনের ভালবাসা সম্ভবই নয়। কারণ পোষ্যেরা কিছু ফেরত চায় না।”
কাজল সম্প্রতি মন্তব্য করেছিলেন, “বলা হয়, সঠিক সময়ে সঠিক মানুষের সঙ্গে বিয়ে হবে। তাই বৈবাহিক সম্পর্ক ‘রিনিউ’ করার রাস্তা থাকা উচিত। আর দাম্পত্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার নির্দিষ্ট সময় থাকলে, আমাদের একটু কম অশান্তি ভোগ করতে হয়।”
অজয় ও কাজলের এমন মন্তব্যে চিন্তায় এই জুটির অনুরাগীরা। সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থার গোয়েন্দা জানিয়েছিলেন, এক বলি তারকা দিনের পর দিন নিজের অভিনেত্রী-স্ত্রীকে ঠকিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা কেবল সমাজের চোখেই সুখী দম্পতি। এই বিবরণ শুনে অনেকে ভেবেছেন, এই দম্পতি হলেন কাজল ও অজয়। অনেকে আবার মনে করেছেন, এঁরা অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কল খন্না।