সামাজিক বার্তাবহ

ফের বাস্তবধর্মী ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আগামী ছবি নির্মাণ করছেন  রানা-সুদেষ্ণা। অ্যালঝাইমার্সের সমস্যা উঠে এসেছে সেখানে‘বেঁচে থাকার গান’-এর পরে ফের রিয়েলিস্টিক সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন অভিজিৎ গুহ-সুদেষ্ণা রায় জুটি। তাঁদের আগামী ছবির নাম ‘শ্রাবণের ধারা’। এই ছবিতে অ্যালঝাইমার্স আক্রান্ত এক রোগীকে নিয়েই আবর্তিত হয় গল্প।

Advertisement

স্বর্ণাভ দেব

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:০০
Share:

‘শ্রাবণের ধারা’ ছবির একটি দৃশ্য

‘বেঁচে থাকার গান’-এর পরে ফের রিয়েলিস্টিক সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন অভিজিৎ গুহ-সুদেষ্ণা রায় জুটি। তাঁদের আগামী ছবির নাম ‘শ্রাবণের ধারা’। এই ছবিতে অ্যালঝাইমার্স আক্রান্ত এক রোগীকে নিয়েই আবর্তিত হয় গল্প। তবে পরিচালকদ্বয়ের মতে, আক্রান্তের পাশাপাশি তাদের পরিবারের মানুষরাও কতটা প্রভাবিত হয়, তা-ই উঠে আসবে এই ছবিতে। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রীয়ের চরিত্রে গার্গী রায়চৌধুরী। কম্বিনেশন শুনেই বিস্মিত হলেন তো! সচেতন ভাবেই এক অসমবয়সি দাম্পত্য সম্পর্ক তুলে ধরতেই পরিচালকদ্বয় সৌমিত্রবাবুর বিপরীতে বেছে নিয়েছেন গার্গীকে। এই দম্পতির পাশাপাশি ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রীয়ের ভূমিকায় বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়া ছবিতে দেখা যাবে পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, দামিনী বসু, বিমল মুখোপাধ্যায়কে। একটি ছোট চরিত্রে দেখা যাবে ছন্দা চট্টোপাধ্যায়কেও। ছবির গল্প লিখেছেন আমেরিকা প্রবাসী ডাক্তার শুভেন্দু সেন। চিকিৎসার সুবাদে অভিজ্ঞতালব্ধ বিভিন্ন টুকরো টুকরো ঘটনাকে জুড়েছেন তিনি। তবে সেই গল্পই ছবিতে রূপ নেয় অভিজিৎ-সুদেষ্ণার সঙ্গে শুভেন্দুর পরিচয়ের পরে। এই বিষয়ে দু’পক্ষের যোগাযোগ তৈরি হয় ছবির প্রযোজক প্রদীপ চুড়িওয়ালের উদ্যোগে। ‘‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুভেন্দুবাবুর গল্পটা শুনেই আমরা ঠিক করেছিলাম এই বিষয়টা বড় পরদায় তুলে ধরা দরকার। তার পরেই খুব দ্রুত ছবির স্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয়,’’ জানিয়েছেন সুদেষ্ণা রায়। সম্ভবত, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ছবির সমস্ত কাজ শেষ হবে। তবে এখনও রিলিজের কোনও প্ল্যানিং হয়নি। ছবির বিষয় নিয়ে সুদেষ্ণা বলছেন, ‘‘অ্যালঝাইমার্সের মতো সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে এর আগে আমরা কখনও কাজ করিনি। কিন্তু এই সমস্যা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে বর্তমানে। আক্রান্তের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সমস্যাও আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি। এ ছাড়া হাসপাতালের খণ্ডচিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি, ছবির মাধ্যমে দর্শকদের মধ্যে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা গড়ে উঠবে।’’ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় নিয়েও বেশ আপ্লুত পরিচালক। ‘‘এই ছবিতে প্রোফেসর অমিতাভর ভূমিকায় সৌমিত্রদা ছাড়া কাউকে ভাবাই যায় না। উনি কত বড় অভিনেতা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিটি সিকোয়েন্সে তাঁর শক্তিশালী অভিনয় এই ছবির সম্পদ।’’ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও এই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যার দায়িত্বে আশু-অভিষেক। ছবির টাইটেল সং গেয়েছেন জয়তী চক্রবর্তী। সম্পাদনায় সুজয় দত্ত রায়। এখন দেখার, নতুন বিষয় নিয়ে দর্শকদের কতটা সম্মোহিত করতে পারেন পরিচালকদ্বয়।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন