কুর্চি, অয়নদীপের সমীকরণ মোড় নেবে কোন দিকে? ছবি: সংগৃহীত।
নেতিবাচক চরিত্র হোক বা প্রেমের দৃশ্য— অম্বরীশ ভট্টাচার্যকে খুব বেশি যে এই ধরনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তেমন নয়। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’, ‘খড়কুটো’, ‘গুড্ডি’, ‘রোশনাই’-এ আদ্যোপান্ত ইতিবাচক চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বেশ কিছু দিন পরে ‘অয়নদীপ’ চরিত্রের মাধ্যমে ছোটপর্দায় প্রত্যাবর্তন। কিছুটা দুষ্টুমি, কিছুটা রোম্যান্স— সব মিলিয়ে কী প্রাপ্তি অভিনেতার?
অয়নদীপ চরিত্রটিকে যে ভাবে সাজিয়েছেন লেখিকা, সেটাই তাঁর পরমপ্রাপ্তি বলে জানালেন অভিনেতা। অম্বরীশ বলেন, “লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকা হল চিত্রনাট্য। চরিত্রটা অসাধারণ ভাবে বুনেছেন লেখিকা। যেখানে নেতিবাচক চরিত্র থেকে মোড় নিয়েছে অন্য দিকে। একটা কথা বলি, আমায় কিন্তু নেতিবাচক চরিত্রে কাস্ট করতেও মানুষজন ভয় পান। এখানে বিশেষ কৃতিত্ব প্রাপ্য পরিচালক দিগন্ত সিন্হারও। যে ভাবে প্রতিটি দৃশ্যকে সাজায় তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
‘চিরসখা’র কাহিনিতে দেখানো হচ্ছে, কমলিনীর ননদ কুর্চির স্বামী অয়নদীপ। স্ত্রীর সঙ্গে অনেক দিন সম্পর্ক ছিল না। এখন আবার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সহজ হচ্ছে। নেতিবাচক অয়নদীপের ‘রোম্যান্টিক’ দিক ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে দৃশ্যে। অম্বরীশ কি আদপে এমনই প্রেমিক মানুষ?
অভিনেতার উত্তর, “আমি বরাবরই খুব রোম্যান্টিক মানুষ। অত্যন্ত প্রেমিক মানুষ বলেই এখনও বিয়ে করিনি হয়তো। কারণ, মনে হয় যাঁরা খুব রোম্যান্টিক মানুষ তাঁরা যদি বিয়ে করে ফেলেন, তা হলে তো রোমান্স শেষ হয়ে যাবে। সেই জন্য আমার যাবতীয় রোমান্স ভাগ করে দিয়েছে সব চরিত্রের উপরে।” অভিনেতা হিসেবে এই চরিত্রে নিজেকে দেখে খুব খুশি তিনি। অভিনেত্রী রাজন্যা মিত্রের সঙ্গে আগেও অনেক ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে অম্বরীশকে। প্রায় ১০ বছরের সম্পর্ক তাঁদের। কাকাশ্বশুরের চরিত্রেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে অম্বরীশ এবং রাজন্যার পরিবর্তিত সমীকরণও দর্শকের নজর কেড়েছে।
অভিনেতা জানালেন, তিনি মনে করেন এত বছরেও তাঁকে এক ধরনের চরিত্রে ভাবেননি কেউ। নানা স্বাদের কাজ করেছেন। তাতেই অভিনেতা খুশি। আগামী দিনে কোন দিকে মোড় নেবে কুর্চি-অয়নদীপের সম্পর্ক, সেটাই দেখার অপেক্ষায় দর্শক।