ঈশ্বরের সৃষ্টি সত্যিই অনবদ্য। তবে তা আলাদা মাত্রা পায় তখনই যখন তাঁর হাতে সৃষ্টি হয় ‘হামশকল’। অর্থাৎ হুবহু এক দেখতে দুজন মানুষ। ঠিক যেমন এ বার পাওয়া গেল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালির আর এক ‘হামশকল’-কে।
একটু ভাল করে দেখুন তো! এক ঝলকে দেখলে মনে হবে যেন ছবিটি বিরাট কোহালিরই। কিন্তু আসলে ইনি রানমেশিন কোহালি নন, তাঁর ‘হামশকল’। নাম, অমিত মিশ্র।
দিল্লিতে নয়, অমিত মিশ্র নামে বিরাটের হামশকল থাকেন উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর। পেশায় সঞ্চালক হলেও মথুরার জি.এল.এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন অমিত। এ ছাড়াও ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার আধিকারিক পদেও কাজ করেছেন তিনি।
অমিতের বাবা শ্রী রাম চন্দ্র উত্তর প্রদেশে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং তাঁর পরিবার অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাঁরা কখনই ছেলের এমন ‘হামশকল’ বা বর্তমান আতিশয্যের কথা কল্পনাও করেননি।
অমিতের অভিনয়ে আসাটা অনেকটা ফিল্মি কায়দায়। একদিন ফ্লাইটে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বলিউডের প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার ইকরাম আখতার-এর। তিনিই তাঁকে সিলভার স্ক্রিনে ভবিষ্যৎ গড়ার পরামর্শ দেন এবং তিনি নিজেও সে সময় এমন একটা বিষয়ে ছবি বানাতে আগ্রহী ছিলেন।
তবে নিজের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত ছিলেন অমিত। এমনিতেই রাস্তাঘাটে বিরাটের ‘হামশকল’ হওয়ার জন্য তরুণ-তরুণীদের ভিড়, সঙ্গে দোসর বলিউডের সেনসেশন। ইকরাম আখতার এই সমস্যার সমাধানও করেন দ্রুত। মথুরাতেই অমিত যাতে ক্লাস, নাচ, অভিনয় সমস্ত দিক সামলাতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দেন।
অমিত এখন ইকরাম আখতারের ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নয়ী পডোসন’ ছবির সিক্যুয়েল ‘নয়ী পডোসন এগেন’ নামে একটি কমেডি ছবির কাজে ব্যস্ত। এ ছাড়াও ইকরামেরই ‘বিরাট’ নামে একটি আপকামিং ছবির কাজও করছেন অমিত।
বিরাটের ‘হামশকল’ হওয়ার দরুন বিমানবন্দরে তাঁকে চেক-ইন লাইনে অপেক্ষা করতে হয় না। সকলেই তাঁকে দেখতে উচ্ছ্বসিত থাকে এবং অমিত নিজেও বিষয়টা উপভোগ করেন। তবে কখনই এর জন্য কোনও সুবিধা নিতে চান না তিনি।
‘যদি ইচ্ছা থাকে, তবে ইচ্ছাপূরণের পথও থাকবে’ এই মন্ত্রে বিশ্বাসী অমিত মিশ্র অনেকটা আসল বিরাটের মতই। হারতে নয়, কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সাফল্য অর্জন করাটাই অমিতের মূল মন্ত্র।