অমিতাভ বচ্চন।— ফাইল চিত্র।
মুম্বইতে ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর সদ্য মারা গিয়েছে এক কিশোর। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, অনলাইন গেম ‘ব্লু হোয়েল’ খেলতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হলেও ইতিমধ্যেই আম-আদমি থেকে সেলেব সকলের আলোচনায় উঠে এসেছে এই মারণ খেলার নাম। এ বার টুইটারে এই অনলাইন গেম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন অমিতাভ বচ্চন।
অমিতাভ টুইট করেন, ‘ওই ছেলেটি ওই ভয়ঙ্কর ইন্টারনেট গেমটা খেলত। এটা খুব অ্যালার্মিং। জীবনটা বেঁচে থাকার জন্য। মরে যাওয়ার জন্য নয়।’
আরও পড়ুন, অনিলকে একটি বিশেষ উপদেশ দিয়েছিলেন অমিতাভ
মনপ্রীত সিংহ। বছর চোদ্দোর ক্লাস নাইনের ওই ছাত্র এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল। তার পরিবারের সঙ্গে এখনও কথা বলতে পারেনি পুলিশ। তবে মনপ্রীতের বন্ধু-বান্ধবদের প্রশ্ন করতে শুরু করেছে তারা। জানা গিয়েছে, ‘ব্লু হোয়েল’ নামে এক অনলাইন গেম নিয়ে চর্চা করত ওই কিশোর। এই গেমের চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে মনপ্রীত। সে-ই এ দেশে এই খেলার প্রথম শিকার বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু ‘ব্লু হোয়েল’ই নয়, অনলাইন দুনিয়ায় এ রকম ‘সুইসাইড গেম’ আরও রয়েছে।
২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মারণ খেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দু’বছর পরে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে। যেন আত্মহত্যার জন্যই। সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’।
আরও পড়ুন, মুম্বইয়ের ছাত্র-মৃত্যুতে কি নীল তিমির রহস্য
আরও পড়ুন, ব্লু হোয়েল বিপজ্জনক, কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী
ফিলিপ বুদেইকিন নামে সাইকোলজির এক প্রাক্তন ছাত্র নিজেকে ওই গেমের আবিষ্কর্তা বলে দাবি করে। বছর একুশের ওই রুশ যুবকের দাবি, যারা মানসিক অবসাদে ভোগে, প্রতিনিয়ত আত্মহত্যার কথা ভাবে, তাঁদের আত্মহত্যার জন্য মজাদার পথ বাতলাতেই এই গেমের ভাবনা। ১৬ জন স্কুলছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। পুলিশকে ফিলিপ বলেছে, ‘সমাজকে পরিচ্ছন্ন করাই’ তার উদ্দেশ্য। এখনও অবধি গোটা বিশ্বে এই খেলায় অংশ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের।