সেলিম খান ও জাভেদ আখতারের বিখ্যাত জুটির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চনও। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে অদৃশ্য মানবের গল্পে দর্শক মন জয় করছিল ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’। জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন অনিল কপূর। কিন্তু আসলে এই বিশেষ চরিত্রে নাকি ভাবা হয়েছিল খোদ অমিতাভ বচ্চনকে।
সত্তর দশকের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার জুটি সেলিম-জাভেদের পরিকল্পনায় ছিল ‘ইনভিজ়বল ম্যান’-এর কাহিনি। কিন্তু জুটি ভেঙে যাওয়ায় আর তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরে জাভেদ আখতার লেখেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র কাহিনি। কিন্তু কেন ভেঙে গেল সেলিম খান ও জাভেদ আখতারের জুটি তা আজও রহস্য। কোনও পক্ষই এ বিষয়ে মুখ খোলেননি কোনও দিন। এমনকি সম্প্রতি নির্মিত তথ্যচিত্র ‘দ্য অ্যাংরি ইয়াং মেন’-ও এ বিষয়ে কোনও আলো ফেলেনি।
তবে অনেকেই মনে করেন সেলিম-জাভেদ জুটির ভিতরে কাঁটা হয়েছিলেন স্বয়ং অমিতাভ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ আখতার কথা বলেন বিষয়টি নিয়ে। তিনি জানান, সেলিম খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঠিক আগেই তাঁরা ‘অদৃশ্য মানব’-এর কাহিনি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তাঁর কথায়, “১৯৮২ সালে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। সে দিন ছিল ২১ জুন। সেলিম সাহেব আমার বাড়ি এলেন, আমরা কথা বললাম। বিচ্ছেদের ঠিক আগে আমরা ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র পরিকল্পনা করেছিলাম।”
অমিতাভ বচ্চনের প্রসঙ্গে জাভেদ বলেন, “অনেকেই ভেবেছিলেন অমিতাভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই আমাদের সম্পর্ক ভেঙেছে। এই গুজবের কারণে আমি প্রায় ১০ বছর অমিতাভের জন্য কোনও কাজ করিনি। অনেক কাজের প্রস্তাব ছিল, করিনি। কারণ আমি চাইনি, কেউ বলুক আমাদের বিচ্ছেদের নেপথ্যে কারও হাত রয়েছে।” তবে দীর্ঘ দিন পর অমিতাভের জন্য কাজ করেছেন জাভেদ আখতার। সে ছবির নাম ‘আজ়াদ’।
জাভেদ জানিয়েছেন, তিনি সব সময় সেলিম খানকে শ্রদ্ধা করতেন। কাজের সময় একসঙ্গে বসে লেখালিখি করলেও সেলিম যে বয়সে ও অভিজ্ঞতায় বড় তা ভুলে যেতেন না কখনও। তিনি বলেন, “কাজের সময় আমরা বয়সের পার্থক্য ভুলে যেতাম। কিন্তু ছোট-বড়র সম্মান যা আমরা পারিবারিক শিক্ষায় পেয়েছি, তা বজায় রাখতাম কাজের বাইরে।”