সেনা পরিবারে বড় হয়েছেন রিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাপান উতর। সীমান্ত রক্ষা করছেন ভারতীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে একজন সেনাকর্মীর কন্যা হিসেবে কেমন লাগে, ভাগ করে নিলেন রিয়া চক্রবর্তী।
‘এক সেনা-কন্যার তরফ থেকে’, এই বলে নিজের বক্তব্য রেখেছেন রিয়া। তিনি বলেছেন, “আমি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি, সেনার উর্দিই যেন বাবার অঙ্গ হয়ে উঠেছিল। শান্ত, গর্বিত এবং সদাপ্রস্তুত— এমনই দেখেছি বাবাকে। আর মাকে দেখতাম একজন সেনার মতোই চোখের জল ধরে রাখতেন।”
সেনা জওয়ানের ঘরে জন্ম নেওয়া মানে, প্রত্যেক দিন নতুন কিছু শেখা। এমনই মনে করেন রিয়া। তাঁর কথায়, “সেনাদের ভালবাসার সঙ্গে দূরত্ব জড়িয়ে থাকে। ভীত সন্ত্রস্ত হাতগুলোকে গর্বের সঙ্গে ধরে থাকেন সেনারা। আমি আজ বাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারি, কারণ কারও বাবা, মা, ভাই বা বোন সীমান্তে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।”
ছোটবেলা থেকে সেনা পরিবারে বড় হয়েছেন বলেই বুঝতে পারেন, সেনা, বায়ুসেনা বা নৌসেনা পরিবারের প্রিয়জনেরা কী ভাবে অপেক্ষা করে থাকেন এবং প্রার্থনা করেন। রিয়ার কথায়, “আমি আপনাদের অনুভূতিগুলো দেখতে পাই এবং বুঝতে পারি। আমি আপনাদের পাশি আছি। এক সেনা পরিবারের তরফ থেকে আর এক সেনা পরিবারকে ভালবাসা, শক্তি ও সেলাম জানাই। জয় হিন্দ।”
কিছু দিন আগেই সিবিআই রেহাই দিয়েছে রিয়াকে। সুশান্ত সিংহ রাজপুত মৃত্যু মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ। এমনকি খুনের অভিযোগও ওঠে। তবে সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে, সুশান্ত আত্মঘাতীই হয়েছিলেন। তার পর থেকে জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেছেন অভিনেত্রী।