Amjad Khan

Amjad Khan: অর্থাভাবে স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়ি আনতে পারছিলেন না ‘গব্বর’ আমজাদ

মধ্যপ্রাচ্যের এক গ্যাংস্টার ফোন করে শেহলাকে জানান, একধিক প্রযোজকদের কাছে সব মিলিয়ে প্রায় সওয়া কোটি টাকা পান আমজাদ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ১৫:০৪
Share:

আমজাদ খান

‘গব্বর সিংহ’। ১৯৭৫-এর ১৫ অগস্ট ‘শোলে’ মুক্তি পাওয়ার পরেই এই এক নামে পরিচিত আমজাদ খান। পরবর্তী কালেও বহু ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর বড় ছেলে শাদাব খানের এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, অর্থকষ্টের জেরে নিজের স্ত্রী শেহলা খানকে হাসপাতাল থেকে ছাড়াতে পারছিলেন না ‘গব্বর সিংহ’। হাসপাতালের খরচ মেটানোর অবস্থা ছিল না তাঁর।

Advertisement

শাদাবের কথায় জানা যায়, এক প্রযোজকের কাছ থেকে টাকা না পাওয়ায় সেই সময়ে প্রবল আর্থিক অনটনে ভুগছিল আমজাদের পরিবার। এ দিকে তখন তাঁদের প্রথম সন্তান শাদাবের জন্ম দিয়েছেন শেহলা। অপরাধ বোধে বিধ্বস্ত আমজাদ নিজের মুখ দেখাতেন না। হাসপাতালে স্ত্রীর কাছে যেতে পারতেন না। এ দিকে সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে কেঁদে ভাসাতেন শায়লা।

স্ত্রী এবং তিন সন্তানের সঙ্গে আমজাদ

আমজাদের পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে ‘হিন্দুস্তান কি কসম’ ছবির প্রযোজক চেতন আনন্দ এসে আমজাদকে ৪০০ টাকা ধার দেন। হাসপাতালের ধার মিটিয়ে আমজাদ তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকে ঘরে নিয়ে আসেন।

Advertisement

শাদাবের দাবি, আমজাদ কোনও দিন টাকা জমাননি। তাঁর তিন ছেলে মেয়ের জন্য কোনও টাকা রেখে যাননি। তার কারণ আমজাদের বন্ধুরা এসে তাঁদের অর্থকষ্টের গল্প শুনিয়ে টাকা চাইতে। আমজাদ দিয়েও দিতেন।

তাঁদের বাবা মারা যাওয়ার পর তিন ছেলেমেয়েকে বড় করে তুলতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে শেহলাকে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের এক গ্যাংস্টার ফোন করে শেহলাকে জানান, একধিক প্রযোজকদের কাছে সব মিলিয়ে প্রায় সওয়া কোটি টাকা পান আমজাদ। তিন দিনের মধ্যে সেই টাকা তিনি উদ্ধার করে দেবেন বলে আশ্বাসও দেন। কিন্তু শেহলা সেই টাকা নিতে অস্বীকার করেন। নিজে ব্যবসা শুরু করে নিজের ছেলেমেয়েদের বড় করেন আমজাদ-পত্নী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন