ছোট পরদায় কাজ করছেন প্রায় সতেরো-আঠেরো বছর! ‘কভি হাঁ কভি না’ ছবিতে শাহরুখ খানের বোন নিকির চরিত্র দিয়ে বড় পরদায় অভিষেক। ভিন্নধর্মী ছবিতে কাজ করলেও ছোট পরদা থেকেই পরিচিতি পেয়েছেন সাদিয়া সিদ্দিকি। তবে অভিনয়ের সঙ্গে তাঁর সুইম-সুট লুকও এখন জোর চর্চার বিষয়। দর্শকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ‘তু সুরজ ম্যায় সাঁঝ পিয়াজি’র খলনায়িকা নন্দা কী ভাবছেন? বেশ জোরে হেসে ফোনে বললেন, ‘‘ভালই লাগছে। তবে ভয়ও পাচ্ছি। বয়সে বড় কোনও আত্মীয় দেখে ফেললে কী বলবে!’’ এই লুকের জন্য কি খুব কসরত করেছেন? ‘‘তেমন নয়। পাঁচ-ছ’দিন হাতে সময় ছিল। দিনে দু’বার করে জিম করেছি। খাওয়ায় একটু লাগাম দিতে হয়েছে,’’ আক্ষেপ অভিনেত্রীর।
এত বছর কাজ করার সুবাদে টেলিভিশনের একটি ব়ড়সড় পরিবর্তন তুলে ধরলেন সাদিয়া। ‘‘ওই সময়ের নিরিখে ‘বনেগি আপনি বাত’ বেশ এগিয়ে ছিল। আগেকার ধারাবাহিকের বিষয় বাস্তবের অনেক কাছাকাছি ছিল। এখন টেলিভিশনে বিয়ে-সংসার নিয়ে ঝামেলা, লড়াই... সব কিছুর মধ্যেই লার্জার দ্যান লাইফ, গ্ল্যামার যোগ করার চেষ্টা। আগে মানুষ সারাদিনের শেষে শান্তিতে টিভি দেখতেন। কিন্তু এখন টিভি চালিয়ে নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন দর্শক। তাঁদের মনোযোগ আকর্ষণ করতেই এই টেকনিক।’’
টেলিভিশনে কাজ করে যে তৃপ্তি নেই, সাদিয়া তা খুঁজে নেন থিয়েটারে। সৌরভ শুক্লের নির্দেশনায় দু’টি নাটকে কাজ করছেন তিনি। ইচ্ছে, নিজের প্রযোজনায় সোলো নাটক করার। টেলিভিশন হোক বা ছবি, সাদিয়ার উপলব্ধি, প্রতিভাই কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে শেষ কথা নয়। ‘‘কেরিয়ারের শুরুতে লিড নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। তবে নিয়ম মেনে শুধু কাজ করলেই এখানে সব হয় না। অনেক রকম প্রস্তাব পেতাম। সাদাসিধে ছিলাম। অভিজ্ঞতাও ছিল না। এক সময় পরিস্থিতি বুঝে নিজেই সরে যাই।’’
অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ সাদিয়ার। এভারেস্টে বেস ক্যাম্প করেছেন। সুযোগ পেলেই চলে যান জাঙ্গল সাফারিতে। স্কুবা ডাইভিংও করেন। ‘‘আমি বেশি ভাবি না। জলে নেমেই সাঁতার শিখতে হয়,’’এই মন্ত্রেই বিশ্বাস করেন অভিনেত্রী।