রাজ্যপালের কবিতা, গায়ক বাবুল

খবর দিচ্ছেন স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়‘‘শূন্য জীবন মে চলো খুশিয়াঁ বিখড়ে/ হোঁ জহাঁ কাঁটে গুলাবি শাম দে দে/ কেয়া করেঙ্গে জো মিলা হ্যায় পাস রখকর/ চল না পায়েঁ জো উনহে দো পাঁও দে দে...’’ ওপরের কবিতার লেখক পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এবং এই কবিতাটি এ বার গানের আকারে থাকছে মিলন ভৌমিকের পরের ছবি, ‘জোয়ার ভাঁটা’য়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০০:০৩
Share:

‘‘শূন্য জীবন মে চলো খুশিয়াঁ বিখড়ে/ হোঁ জহাঁ কাঁটে গুলাবি শাম দে দে/ কেয়া করেঙ্গে জো মিলা হ্যায় পাস রখকর/ চল না পায়েঁ জো উনহে দো পাঁও দে দে...’’

Advertisement

ওপরের কবিতার লেখক পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এবং এই কবিতাটি এ বার গানের আকারে থাকছে মিলন ভৌমিকের পরের ছবি, ‘জোয়ার ভাঁটা’য়। সৌমিত্র কুণ্ডুর সুরে গাইবেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সংক্রান্ত মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

অনেক দিন ধরেই পরিচালক মিলন ভৌমিক তাঁর ছবিতে রাজ্যপালের এই কবিতাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। অবশেষে গল্প শোনার পর রাজ্যপাল অনুমতি দেন পরিচালককে।

Advertisement

তাঁর কবিতা এখন সিনেমার গান, এই প্রসঙ্গে কী বলছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল?

“বহু দিন আগে আমি কবিতাটি লিখেছিলাম। আসলে সমাজ, মানবিকতা, এ সব নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম। মিলন যখন ওর ছবিতে কবিতাটা ব্যবহার করতে চাইল, আমি ছবির গল্প জানার পরেই ওকে অনুমতি দিই,” বলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের কবিতা, বাবুলের গান ছাড়াও এই ছবির কাস্টিং-য়েও চমক। ‘জোয়ার ভাঁটা’য় অভিনয় করবেন এফটিআইআই-এর বিতর্কিত চেয়ারম্যান গজেন্দ্র চৌহান।

সব মিলিয়ে ‘জোয়ার ভাঁটা’ নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম টলিউড।

বাবুল বললেন...

• আপনি নাকি রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর লেখা গান গাইছেন?

হ্যাঁ, প্রোডিউসারের তরফ থেকে ফোন করা হয়। আমি জানতে চাই, সত্যি সত্যিই রাজ্যপাল লিখেছেন কি না? যখন শুনলাম উনি লিখেছেন, সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম।

• রাজ্যপাল লিখছেন বলেই?

এ ক্ষেত্রে তাই। কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করি। গুণী মানুষ। গুণের সমঝদার। কিছু দিন আগেই কলামন্দিরে এসেছিলেন আমার গান শুনতে। কিশোরকুমারের গানে শ্রদ্ধাঞ্জলি ছিল। বিরাট
পাওনা। আর উনি গান লিখেছেন, আমাকে সেই গান গাইতে হবে... আমার সৌভাগ্য। অন্য রকম ভাল লাগা।

• শুনেছি ‘রিস্তে’ দেশাত্মবোধক ছবি বলে নাকি আপনার আগ্রহ বেশি?

তা না। এক জন শিল্পীর কাছে ছবির বিষয়বস্তু কখনওই গানের চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় না।

• আচ্ছা, ছবিটা ডাবল ভার্সানে হচ্ছে। হিন্দি ও বাংলায়। দু’টোতেই গাইবেন?

বললে, দু’টোতেই গাইব। আমার আপত্তি নেই।

• সদ্য বিয়ে করেছেন। সুইৎজারল্যান্ড থেকে হানিমুন সেরে ফিরলেন... আজ দিল্লি, কাল আসানসোল। এত ব্যস্ততার মাঝেও গানের কথা ভাবতে পারছেন?

গান? (হাসি) আমার মনের রোম্যান্টিক কোণটাকে তাজা রাখে তো গানই!

সাক্ষাৎকার: নিবেদিতা দে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন