বিনয়ী সিদ্ধার্থ

কারণ তাঁর মতে, ‘‘দক্ষিণী ছবির নির্দেশকরা হরর ফিল্মে কমেডি আর হিন্দি ছবির পরিচালকরা হরর-এর সঙ্গে সেক্স মিশিয়ে একটা অদ্ভুত ককটেল বানান। তাতে আর যা-ই হোক, হরর ফিল্ম হয় না।’’

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:২০
Share:

সিদ্ধার্থ

দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্ধার্থের নাম বললেই এখনও ‘রং দে বসন্তী’-র কথাই সকলের মনে পড়ে। তার পর বেশ কয়েকটি ছবিতে তিনি অভিনয় করলেও, কোনওটিই সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছে ভৌতিক ছবি ‘দ্য হাউজ নেক্সট ডোর’-এ। এ হেন ভৌতিক ছবি করার পিছনে সিদ্ধার্থের যুক্তি হল, ‘‘আমাদের দেশে হরর ফিল্মকে সব সময় খুব হালকা ভাবে নেওয়া হয়। তাই ‘কনজিউরিং’-এর মতো ইংরেজি ছবি ভারতে বেশ ভাল ব্যবসা করলেও, এ দেশে তৈরি হরর ফিল্ম কিন্তু চলে না। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, এই ছবিটাও কিন্তু রামগোপাল বর্মার ‘রাত’ বা ‘ভূত’-এর মতো ছবিগুলোর কথা মনে করাবে।’’

Advertisement

সিদ্ধার্থ এ ছবির প্রযোজকও ছিলেন। ভূতের ছবি থেকে নাচ-গানকে দূরে রেখেছেন। কারণ তাঁর মতে, ‘‘দক্ষিণী ছবির নির্দেশকরা হরর ফিল্মে কমেডি আর হিন্দি ছবির পরিচালকরা হরর-এর সঙ্গে সেক্স মিশিয়ে একটা অদ্ভুত ককটেল বানান। তাতে আর যা-ই হোক, হরর ফিল্ম হয় না।’’

তবে এখন কিন্তু সিদ্ধার্থের সামনে ‘রং দে বসন্তী’-র প্রসঙ্গ তুললে তিনি যারপরনাই বিরক্ত হন। ‘‘এই ছবির কারণে দর্শক আমাকে মনে রেখেছে, এই কথাটা আমার পছন্দ নয়। আমার ৩৮ বছর বয়স। ৩০টার মতো ছবিতে অভিনয় করেছি। কিন্তু তার মধ্যে শুধু ‘রং দে বসন্তি’ই উল্লেখ করা হয়। ছবিটা সুপারহিট ছিল। সেখানে অনেক বড় বড় স্টারের সঙ্গে কাজ করেছি। অনেক কিছু শিখেছি যা আমাকে অভিনেতা হিসেবে এগোতে সাহায্য করেছে।’’ তবে দক্ষিণের এই তারকা কিন্তু নিজেকে স্টার বলে মনে করেন না। তাই তাঁর কাছে স্টারডম অর্থহীন। ‘‘আমার পড়াশোনা, বড় হওয়া সব দিল্লিতে। আমি খুব বিনম্র স্বভাবের, কিন্তু কাজের ব্যাপারে অহংকারী,’’ বললেন সিদ্ধার্থ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement