Entertainment News

তুলনা নিয়ে মাথা ঘামাইনি, বললেন অর্জুন কপূর

ফ্যাশন শোয়ের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। র‌্যাম্পে হাঁটার আগে খোলামেলা আলাপচারিতায় অর্জুন কপূর ফ্যাশন শোয়ের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। র‌্যাম্পে হাঁটার আগে খোলামেলা আলাপচারিতায় অর্জুন কপূর

Advertisement

সায়নী ঘটক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ০১:০০
Share:

অর্জুন

প্র: আপনি কতটা ফ্যাশনেব্‌ল?

Advertisement

উ: আমি ফ্যাশন নিয়ে একেবারেই অবসেস্‌ড নই। তবে যখন পাবলিক ফিগার হিসেবে জনসমক্ষে বেরোই, তখন নিজেকে কী ভাবে ক্যারি করছি, সেটা তো গুরুত্বপূর্ণ বটেই। কোনও চরিত্রের প্রয়োজনে হলে ঠিক আছে। যেমন, ‘পানিপত’-এর জন্য মাথার চুল পুরো কামিয়ে ফেলেছিলাম।

Advertisement

প্র: ‘পানিপত’ তো বক্স অফিসে একেবারেই ভাল ফল করেনি...

উ: কিন্তু আমি ছবিটায় কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। আশুতোষ গোয়ারিকরের ছবিতে কাজ করার জার্নিটা আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল হয়ে থাকবে। এই জ়ঁরে তো উনি মাস্টার। নিজের লুকটাও সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলেছিলাম।

প্র: ‘বাজিরাও মস্তানি’-র সঙ্গেও অনেক তুলনা করা হয়েছিল...

উ: তুলনা তো চলতেই থাকবে, আর এখন তো সবকিছু নিয়ে মিম তৈরি হয়ে যায়। সে সব নিয়ে মাথা ঘামালে চলবে কেন? ছবিটা ব্যবসা করতে পারেনি ঠিকই। তবে একটা প্রশংসনীয় পদক্ষেপ তো বটেই।

আরও পড়ুন: মুভি রিভিউ: দুর্দান্ত চমক আর হাড়হিম করা থ্রিলারে জমে গেল ‘দ্বিতীয় পুরুষ’

প্র: মরাঠি যোদ্ধাদের নিয়ে পর পর ছবি হচ্ছে বলিউডে। কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে এর পিছনে?

উ: আমার তা মনে হয় না। বিষয় বৈচিত্রেও বলিউড এখন ছক ভাঙছে। আমার পরের ছবিটাই তো ব্ল্যাক কমেডি।

প্র: ‘সন্দীপ অওর পিঙ্কি ফরার’ কতটা আলাদা হতে চলেছে?

উ: পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় চরিত্রের গভীরে গিয়ে সব আবেগ বার করে আনতে পারেন। তাই শুটিংয়ের পুরো সময়টায় আমরা সকলেই খুব আবেগপ্রবণ হয়ে ছিলাম। আর দিবাকর দিল্লির বাঙালি হওয়ায় ওখানকার সব ধরনের উচ্চারণ ওঁর জানা। আমাকে পুরোপুরি জাঠ বানিয়ে তুলতে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। এই ছবিটায় একদম অন্য রকম অর্জুন কপূরকে দেখতে পাবেন সকলে।

প্র: দাদা হিসেবে আপনি জাহ্নবীকে কতটা গাইড করেন?

উ: জাহ্নবী এমনিতে খুবই গোছানো মেয়ে। নতুন কাজ নিয়ে সব সময়ে উত্তেজিত থাকে। যেটা ভালবাসে, সেটা নিয়ে খুবই প্যাশনেট। ভাল কাজ করার খিদেটা রয়েছে ওর মধ্যে। আর মনে রাখতে হবে, ও বড় দায়িত্ব নিয়ে এসেছে। ওর কাজ ওর নিজের চয়েসেই হওয়া উচিত। তার ভাল-মন্দ ফলটাও ওকেই বুঝে নিতে হবে। আর যা-ই করুক, সেটা উপভোগ করা দরকার।

প্র: বাবা (বনি কপূর) নাকি জাহ্নবীকে নিয়ে খুব চিন্তায় থাকেন?

উ: আমার কিংবা ড্যাডের কথামতো যদি ও ছবি বাছে, কাল ছবিটা না চললে আফসোস হবে। সেটা কাম্য নয়। তবে হ্যাঁ, পরামর্শ চাইলে নিশ্চয়ই দিই। যেমন ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’-এর পরিচালক আমার স্কুলের বন্ধু। জাহ্নবী আমায় জিজ্ঞেস করেছিল, ওর মতো নতুন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করাটা ঠিক হবে কি না। বলেছিলাম, আমি যখন অভিষেক বর্মনের সঙ্গে ‘টু স্টেটস’ করেছিলাম, সেটা ওর ডেবিউ ফিল্ম ছিল। আলি আব্বাস জ়াফরও ‘গুন্ডে’র আগে একটাই ছবি বানিয়েছিল। তা হলে চান্স নিতে ভয় কীসের?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন