আশা ভোঁসলে
রিমেক নিয়ে তাঁর কোনও ছুঁতমার্গ নেই। কিন্তু তা বলে গীতা দত্তের গাওয়া গান তিনি ফের গাইছেন? কে না জানে আশা ভোঁসলে-গীতা দত্তের সম্পর্ক কতটা খারাপ ছিল। শঙ্কুদেব পণ্ডার দ্বিতীয় ছবি বিক্রম-সোনিকা কাণ্ড নিয়ে। তােতই গান গাইছেন আশা।
পঞ্চাশের জনপ্রিয় ছবি ‘আর পার’-এর গান ‘বাবুজি ধীরে চল না’র রিমেক করা হচ্ছে শঙ্কুদেবের ছবিতে। গীতা দত্তের গলায় অসম্ভব জনপ্রিয় হওয়া এই গান গাইতে শেষমেশ আশা ভোঁসলে রাজি হলেন কী করে? দু’জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘটনা তো অজানা নয়। পরিচালক জানাচ্ছেন, যথেষ্ট কাঠখড় পুড়িয়েই আশাকে রাজি করাতে হয়েছে। ‘‘কী ভাবে রাজি করিয়েছি, সেটা শুধু আমিই জানি। তবে একবার রাজি হয়ে যাওয়ার পর আশাজি ভীষণ সহযোগিতা করেছেন,’’ বলছিলেন শঙ্কুদেব। এই গান রিমেক করার জন্য এইচএমভি থেকে অনুমতি নিতে হয়েছে। নতুন করে অ্যারেঞ্জ করেছেন কলকাতার সুরকার শ্রী প্রীতম। মুম্বইয়েই পুরো গানের রেকর্ডিং হয়েছে। আশার গান রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে পরিচালক বলছিলেন, ‘‘উনি ভীষণ পারফেকশনিস্ট। গান রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে নিজের পদ্ধতিই মেনে চলেন। এখন যে সব আধুনিক কায়দাকানুন বেরিয়েছে, উনি সেগুলো মানেন না। এখন তো একটা গান আলাদা আলাদা করে গেয়ে সেটাকে মিশিয়ে নেওয়া হয়। আশাজি কিন্তু পুরো গান একবারে রেকর্ডিং করলেন। আর সবটা নিখুঁত ভাবে না হওয়া পর্যন্ত উনি সন্তুষ্ট হন না।’’
যেহেতু বিক্রম-সোনিকার ঘটনা নিয়ে ছবি, তাই ট্র্যাফিক সচেতনতার বিষয়টি থাকছে। ‘বাবুজি ধীরে চল না’ গানের একটা র্যাপের মাধ্যমে ট্র্যাফিকের কিছু নিয়মকানুন বলা হবে বলে জানালেন পরিচালক।
বিতর্কিত বিষয় নিয়ে ছবি করায় আগ্রহ শঙ্কুদেবের। তাঁর আগের ছবি ‘কমরেড’ও তাই ছিল। দ্বিতীয় ছবির নাম এখনও ঠিক হয়নি। তবে হিন্দিতে তৈরি করছেন এবং সর্বভারতীয় স্তরে রিলিজের পরিকল্পনা তাঁর। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সোনিকার চরিত্রে থাকবেন মডেল শতরূপা পাইন। তবে শঙ্কুদেব জানালেন, তাঁরা এখনও কাউকে চূড়ান্ত করেননি। কলকাতা-মুম্বই মিলিয়েই কাস্ট করা হবে। তবে আগে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছিল, তাঁরা কেউই আর নেই ছবিতে।