Dhurandhar

‘মুম্বই বিস্ফোরণের ঘটনা আমরা উদ্‌যাপন করিনি’, বালোচিস্তান থেকে অভিযোগ ‘ধুরন্ধর’-এর বিরুদ্ধে

মীর ইয়ার দাবি করেছেন, গ্যাংস্টারেরা কখনও বালোচিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেনি। বালোচিস্তানের মানুষও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। তাঁরা কখনও মুম্বই বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিনিধিত্ব করেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩০
Share:

ফের বিতর্কে ‘ধুরন্ধর’। ছবি: সংগৃহীত।

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ‘ধুরন্ধর’-এর। এ বার বালোচিস্তান থেকে এই ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। আদিত্য ধরের এই ছবিতে নাকি নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে বালোচিস্তানের মানুষকে। ভারতের সঙ্গেও বালোচিস্তানের সম্পর্ক নেতিবাচক ভঙ্গিতে দেখানো হয়েছে। দাবি করেছেন বালোচ এলাকার বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী মীর ইয়ার বালোচ।

Advertisement

মীরের দাবি, ‘দেশপ্রেমিক’ বালোচদের একেবারে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে ‘ধুরন্ধর’ ছবিতে। ছবিতে একটি দৃশ্য রয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে টিভিতে মুম্বইয়ের ২৬/১১ বিস্ফোরণের ঘটনা দেখে উদ্‌যাপন করছেন অর্জুন রামপাল ও অক্ষয় খন্না অভিনীত চরিত্রগুলি। মীর ইয়ার দাবি করেছেন, গ্যাংস্টারেরা কখনও বালোচিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেনি। বালোচিস্তানের মানুষও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। তাঁরা কখনও মুম্বই বিস্ফোরণের ঘটনার প্রতিনিধিত্ব করেননি। কারণ, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের শিকার বালোচিস্তানের মানুষও।

এক বিবৃতিতে ওই বালোচ মানবাধিকার কর্মী লেখেন, “বালোচিস্তানের মানুষ কখনও ভারতের ক্ষতি করার জন্য আইএসআই-এর সঙ্গে জোট বাঁধেনি। বালোচিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে মোটেও সুবিচার করেনি এই ছবি। বালোচিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে অস্ত্রের অভাব রয়েছে। তা না হলে পাকিস্তানকে বহু আগেই হারিয়ে দিতে পারত।”

Advertisement

তাই মীর ইয়ারের দাবি, ‘ধুরন্ধর’ ছবি তৈরির আগে সেই ভাবে গবেষণা করা হয়নি। বালোচিস্তানের ইতিহাস, স্বাধীনতা সংগ্রাম কিছুই যাচাই করে দেখা হয়নি। সঞ্জয় দত্ত অভিনীত চরিত্র চৌধরি আসলামের মুখে একটি সংলাপ রয়েছে— “কুমিরের উপর ভরসা করা যায়। কিন্তু বালোচদের উপর নয়।” এই সংলাপের বিরোধিতা করেছেন মীর।

উল্লেখ্য, আদিত্য ধরের ছবিতে অভিনয় করেছেন রণবীর সিংহ, অর্জুন রামপাল, অক্ষয় খন্না, আর মাধবন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement