Nusrat Faria

নিয়মিত অবসাদের ওষুধ খেতে হয়! পুরনো প্রেম ভাঙার পর কী ভাবে নিজেকে সামলাচ্ছেন নুসরত?

এত দিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেত্রী নুসরত ফারিয়া। অথচ, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। গত ১০ বছরের সম্পর্ক ভাঙল কেন নায়িকার?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৫৩
Share:

অবসাদে ভুগছেন নুসরত ফারিয়া? ছবি: সংগৃহীত।

দীর্ঘ ১০ বছর প্রেম পর্বের পর প্রেমিক রনি রিয়াদ রশিদের সঙ্গে বাগ্‌দান সারেন অভিনেত্রী নুসরত ফারিয়া। ২০২০ সালের মার্চে বেশ ধুমধাম করেই হয়েছিল অনুষ্ঠান। কিন্তু তার পর আচমকাই বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন অভিনেত্রী। এত বছরের সম্পর্ক হঠাৎ ভাঙার কেন সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেত্রী? এত দিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন নায়িকা। অবশেষে মুখ খুললেন। সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, “আমরা তিন বছর আগে বাগ্‌দানের ঘোষণা করেছিলাম। অনেক ভেবে আমি ও রনি আমাদের ৯ বছরের সম্পর্কের ইতি টানছি। আমাদের মধ্যে যে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব ছিল, তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।” কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন নুসরত?

Advertisement

সম্প্রতি বাংলাদেশি এক সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন নায়িকা। তিনি বলেন, “মা-বাবা আর রনি— এই ছিল আমার পৃথিবী। ওকে ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারতাম না। ছোটবেলা থেকে আমাদের সম্পর্ক। পরস্পরের সঙ্গে সময় কাটানো, একসঙ্গে থাকা এ সবে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাই এই রনির সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত আমার কাছে একটা বড় বিষয় ছিল।”

প্রায় চার বছর ধরে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু পারেননি। ১০ বছর অনেক বড় সময়। এত দিনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে অনেকখানি মনের জোর দরকার, মনে করে নুসরত। অভিনেত্রী বলেন, “কী ভাবে বলব সেটা বুঝতে পারছিলাম না। চার বছর সময় লেগেছিল বলতে। যদিও রনি জানতে চেয়েছিল একসঙ্গে থাকতে চাই কি না। কিন্তু আমাদের সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যৎ ছিল না। আমি থাকতে চাইনি আর।”

Advertisement

সম্পর্ক ভাঙার কষ্ট এখনও পুরোপুরি মন থেকে মুছে ফেলতে পারেননি নুসরত। অভিনেত্রী বললেন, “মানসিক অবসাদের জন্য তিন মাস কাজ করিনি। এখনও ওষুধ খাচ্ছি অবসাদ কাটানোর। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।” কিছু দিন আগে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। জেল হেফাজতেও কাটাতে হয়েছিল এক দিন। আপাতত অভিনেত্রী ধীরে ধীরে ফিরছেন পুরনো ছন্দে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement