Tahsan Rahman Khan

গান ছাড়ার ঘোষণা করলেন তাহসান, জিহাদের ঘোষণায় সায় দিয়েছেন গায়ক, খোঁচা তসলিমা নাসরিনের

গান ছাড়তে চান তাহসান। মেয়ে বড় হচ্ছে, তাই মঞ্চে দাঁড়িয়ে লাফালাফি করা যায় না। তাহসানের এ হেন মন্তব্যে পাল্টা খোঁচা দিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১৫
Share:

(বাঁ দিকে) তাহসান রহমান খান, তসলিমা নাসরিন। —ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান রহমান খান। সম্প্রতি সঙ্গীতজীবনের ২৫ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। সেই উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়া ট্যুরে রয়েছেন তিনি। শোনা যায়, সেখানেই কথায় কথায় গায়ক জানান, এটাই তাঁর শেষ ট্যুর। তার পর থেকেই শুরু হয় চর্চা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেই গান ছাড়ছেন তিনি। এর সপক্ষে তাঁর যুক্তি, মেয়ে বড় হচ্ছে। তাই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আর লাফালাফি করা যায় না। তাহসানের এ হেন মন্তব্যে পাল্টা খোঁচা দিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

Advertisement

রবিবার গান গাইতে গাইতেই হঠাৎ মাইকে তাহসান ঘোষণা করেন, ‘অনেক জায়গায় লেখা হচ্ছে, এটা আমার শেষ কনসার্ট। আসলে শেষ কনসার্ট নয়, শেষ ট্যুর। আস্তে আস্তে সঙ্গীতজীবনের হয়তো ইতি টানব। এটা ন্যাচরাল। সারা জীবন কি এ ভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে লাফালাফি করা যায়! মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে, এখন যদি মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাই, “দূরে তুমি দাঁড়িয়ে”— দেখতে কেমন লাগে?’’

শিল্পীর মুখে এমন কথা শুনে দর্শকের তরফে একসঙ্গে ধ্বনি ওঠে, ‘‘না, না।’’ যদিও গায়ক জানিয়েছেন, তিনি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন। এর পরেই গায়ককে লক্ষ্য করে প্রশ্ন করেন তসলিমা। তিনি লেখেন, ‘‘দাড়ি রেখে বুঝি স্টেজে গান গাওয়া নিষেধ? মেয়ে বড় হলে বুঝি গান গাওয়া নিষেধ? লাফালাফি করতে ইচ্ছে না হলে লাফালাফি না করেও গান গাওয়া যায়। আমি তো জানি একমাত্র গান গাইতে না পারলেই স্টেজে গান গাওয়া উচিত নয়। তাহসান তো এখনও গান গাইতে পারেন। তাহসানের দাড়ি কি ইসলামি দাড়ি? ইসলামি দাড়ি হলে না হয় বুঝতাম ইসলাম ব্যবসায়ীদের ফতোয়া মেনে গান ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।’’

Advertisement

তসলিমার অভিযোগ, বাংলাদেশে নাকি জিহাদি জঙ্গিরা গান গাওয়ার বিপক্ষে। সেই জায়গায় প্রতিবাদ করার বদলে তাহসান গান ছাড়ার কথা বলছেন। তসলিমার কথায়, ‘‘দেশে যখন গানবাজনা বন্ধ করার জন্য জিহাদি জঙ্গিরা উঠেপড়ে লেগেছে, তিনি তখন গানবাজনার পক্ষে না দাঁড়িয়ে তা ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে কথা বলছেন!’’

তসলিমার দাবি, তাহসান নাকি সেইসব জঙ্গিদের কাজে সায় দিচ্ছেন! লেখিকা অভিযোগের সুরে লেখেন, ‘‘তিনি জিহাদির মতোই কথা বললেন, যারা বাউল উৎসব বন্ধ করছে, লালন মেলা বন্ধ করছে, স্কুলে গানের শিক্ষক বন্ধ করছে, গানবাজনার মাজার পুড়িয়ে দিচ্ছে! তিনি কি গান বাজনার বিরুদ্ধে ওদের জিহাদ ঘোষণায় সায় দিয়েছেন? তা না হলে তাঁর কোনও প্রতিবাদ দেখিনি কেন?’’

যদিও লেখিকের এই অভিযোগে প্রত্যুত্তর দেননি তাহসান। বাংলা রক গানে জোয়ার এনেছিল ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক’। ১৯৯৮ সালে তিন বন্ধু জন কবির, জাহান ও টনির হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় এ ব্যান্ডের। পরে এই ব্যান্ডে যোগ দেন তাহসান। ২০০২ সালে বাজারে আসে তাঁদের প্রথম অ্যালবাম ‘আমার পৃথিবী’। এই অ্যালবামের গান ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয় বাংলাদেশের তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে। এর পর বহু গান গেয়েছেন, সিনেমায় গেয়েছেন। সম্প্রতি ‘দাগি’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘একটুখানি মন’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় দর্শকমহলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement