Waheeda Rehman

‘মুসলিম, তাই নাচের গুরুজি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন!’ মাধুরীর কাছে আফসোস ওয়াহিদার

ভাইরাল হওয়া সেই মুহূর্ত দেখিয়েছে, উপস্থিত প্রত্যেকেই বিস্মিত ওয়াহিদার এই অভিজ্ঞতার কথা শুনে। কিন্তু বিস্ময়ের তখনও বাকি। প্রবীণ অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমিও নাছোড়বান্দা! শিক্ষার আবার জাতি-ধর্ম হয় নাকি?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২১ ১৭:০৯
Share:

ওয়াহিদা রহমান।

বহু যুগ আগের কথা। ওয়াহিদা রহমান তখন চেন্নাইয়ে থাকতেন। ভীষণ ইচ্ছে, ভরতনাট্যম শিখবেন। তিরুচেন্দুর মীনাক্ষী সুন্দরম পিল্লাই সেই সময় সেখানকার প্রথম সারির গুরুজি। ওয়াহিদা ঠিক করলেন তাঁর কাছেই নাচ শিখবেন। বন্ধুর মাধ্যমে নাচ শেখার ইচ্ছাও প্রকাশ করলেন গুরুজির কাছে। কিন্তু বেঁকে বসলেন গুরুজি স্বয়ং। কেন? ‘আমি মুসলিম। আমি ভরতনাট্যমের অনেক মুদ্রা, নাচের অনেক অংশ করতে পারব না। তাই তিনি আমায় নাচ শেখাবেন না’, জানিয়েছেন খোদ ‘গাইড’ অভিনেত্রী। খবর, ওয়াহিদা রহমান, আশা পারেখ এবং হেলেন সম্প্রতি অতিথি বিচারক হয়ে এসেছিলেন মুম্বইয়ের নাচের এক রিয়্যালিটি শো-এ। সেখানেই মাধুরী দীক্ষিত ওয়াহিদার ভরতনাট্যম শেখার কথা তুলতেই এই ঘটনা বলেন তিনি।
ভাইরাল হওয়া সেই মুহূর্ত দেখিয়েছে, উপস্থিত প্রত্যেকেই বিস্মিত ওয়াহিদার এই অভিজ্ঞতার কথা শুনে। কিন্তু বিস্ময়ের তখনও বাকি। প্রবীণ অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমিও নাছোড়বান্দা! শিক্ষার আবার জাতি-ধর্ম হয় নাকি? আমার বন্ধুকে, বারেবারে পাঠাতে লাগলাম গুরুজির কাছে।’ ওয়াহিদাকে ঠেকাতে শেষে তাঁর কুষ্ঠি চেয়ে পাঠালেন তিরুচেন্দুর। ওয়াহিদার কুষ্ঠি নেই। তিনি পড়লেন বিপদে। তখন গুরুজিই অভিনেত্রীর জন্ম তারিখ, সাল, জেনে কুষ্ঠি বানালেন।
ওয়াহিদার কুষ্ঠিই নাকি বদলে দিয়েছিল তাঁর ভাগ্য!
কী ভাবে? কুষ্ঠি বিচার করে গুরুজি আনন্দে আটখানা। ওয়াহিদাকে নাচ শেখাতেও রাজি। তিনি নাকি জেনেছিলেন, ওয়াহিদাই তাঁর শেষ ভারত বিখ্যাত নাচের ছাত্রি হবেন। শিক্ষার্থীর গর্বে গর্বিত হওয়ার লোভ কোন গুরুজি ছাড়তে পারেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement