‘স্ত্রীর পত্র’ ছবির একটি দৃশ্য।—নিজস্ব চিত্র।
বিশ্ব দরবারে বাংলা ছবির জয়জয়কার। কানের আঙিনায় ফের বাঙালি পরিচালকের ছবি। কান চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পেল বাংলা ছবি ‘স্ত্রীর পত্র’ (দ্য ওয়াইফ’স লেটার)। এর আগে হ্যামিলটন চলচ্চিত্র উৎসব, বার্লিনে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি।
দিল্লি নিবাসী পরিচালক অনীক চৌধুরীর বয়স মাত্র ২৫। প্রথম ছবি বানিয়েই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র মহলে রীতি মতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। কানের ‘মার্চে দু ফিল্ম’ বিভাগে এই ছবিটি মনোনীত হওয়ায় স্বভাবতই খুশি অনীক বললেন, ‘‘বিশ্বের অন্য নামী পরিচালকদের ছবির সঙ্গেই দেখানো হবে বাংলা সিনেমা। এটাই সব চাইতে বড় ব্যাপার।’’ পাশাপাশি জানান, বিশ্বের দরবারে বাংলা ছবিকে পৌঁছে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। অনীকের কথায়, ‘‘সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনসস্টিউট (এসআরএফটিআই)-এ ‘স্ত্রীর পত্র’র প্রিমিয়ার হওয়ার পর বহু মানুষের কাছ থেকে ভাল সাড়া পেয়েছিলাম। তার আগেই অবশ্য অনেকগুলো বিদেশি চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হয়েছিল আমার এই ছবি।’’ এই ছবির ইংরেজি ভার্সনটি হল ‘দ্য ওয়াইফ’স লেটার’।
‘স্ত্রীর পত্র’ (দ্য ওয়াইফ’স লেটার)-এর পোস্টার।
বিদেশে বাংলা ছবির জয়যাত্রার স্বপ্ন অনেক দিন ধরেই ছিল অনীকের। কিন্তু হাতে টাকাকড়ি ছিল না। এক্কেবারে আনকোরা একজন পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ নেই। একটা পুরোদস্তুর ছবি তৈরি করার মতো অর্থের জোগান হবে কী করে? শেষে সাহসে ভর করে প্রবাসী বাঙালি পরিচালক কলকাতায় এসে ছবি তৈরি শুরু করেন। বিষয়-ভাবনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সালভাদর ডালির আর্ট ফর্মের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে এই ছবি। সঙ্গে রবি ঠাকুরের ছোট্টগল্প ‘স্ত্রীর পত্র’-র সামান্য কিছু ছোঁয়া।
‘স্ত্রীর পত্র’ ছবির প্রোমো