কড়া জবাব অঞ্জনার। ছবি: সংগৃহীত।
কড়া শাসনে ছেলেকে বড় করেছেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছিলেন তিনি। ব্যস, তার পর থেকে বিতর্কের বন্যা। বর্তমানে অভিনেত্রীকে ‘কুসুম’ ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। গল্পে তিনি দুই সন্তানের মা। সেই প্রেক্ষিতে সন্তানকে বড় করার প্রসঙ্গ উঠে আসে। তাঁর উত্তরকে কেন্দ্র করে এত জলঘোলা হবে তা অঞ্জনা নিজে বুঝতেই পারেননি। এমনিতে সচরাচর নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় সে ভাবে কিছু পোস্ট করেন না। এই সাক্ষাৎকারও যে দর্শকের মনে প্রশ্ন তুলবে তা ভাবেননি। অঞ্জনা জানিয়েছিলেন নিয়মনুবর্তিতায় ছেলেকে বড় করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে ‘টক্সিক পেরেন্টিং’-এর তকমা দিয়েছে দর্শকের একাংশ। এই মন্তব্য কি পড়েছেন অঞ্জনা?
অভিনেত্রী বললেন, “ হ্যাঁ, সবই পড়ছি। আমার হাতে নাই ভুবনের ভার। কে কী ভাবে তাঁদের সন্তানকে বড় করবেন সেটা তাঁদের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। আর আমি তো কোনও আধ্যাত্মিক সাক্ষাৎকার দিতে যাইনি।” সমাজমাধ্যমের ইতিউতি চোখ পড়লে ছোট শিশুদের মানসিক চাপ, তাঁর মনস্তত্ত্ব নিয়ে অনেক লেখা চোখে পড়ে। এমনকি শোনা যায়, ইদানীং স্বাধীন ভাবে নিজেদের সন্তানকে শাসনও করতে পারেন না অনেক মা-বাবা। অঞ্জনা যোগ করলেন, “কারও কোনও কথায় উত্তর দিতে রাজি নই। যাঁরা ব্যক্তিগত ভাবে আমায় চেনেন তাঁরা জানেন ঠিক কতটা শাসন আর কতটা আহ্লাদ দিয়ে ছেলেকে বড় করেছি আমি। রাস্তার পথচলতি লোকের আলটপকা মন্তব্যয় আমার কিছু যায় আসে না।” বছর ২৫-এর এক পুত্র সন্তানের মা অঞ্জনা।যিনি এই মুহূর্তে বিদেশে থাকেন। স্কুল পাশের পর থেকেই তিনি বাইরে। কলকাতায় থাকাকালীন মায়ের কথা শুনেই চলতে হত। রাত ন’টার পর বাড়ির বাইরে থাকার অনুমতি ছিল না। এ সব কিছু অঞ্জনাই জানিয়েছেন।
অভিনেত্রীর কড়া শাসন বা নিয়ম নিয়েই সমাজমাধ্যমের পাতায় হইচই। কেউ লিখেছেন, “দমবন্ধ করে বড় করে তোলার কোনও মানে হয় না”। আবার কারও মত, “আপনি সত্যিই টক্সিক মা”। অভিনেত্রী বললেন, “আমি তো কাউকে বলিনি আমার মতো করে সবাই তাঁদের সন্তানকে বড় করুক। তাই আমার ছেলের বড় হওয়া নিয়েও কেউ মন্তব্য করুক তা একেবারেই চাই না।”