শুটিং ফ্লোরে ভুতুই মধ্যমণি

বাংলায় ‘ভুতু’র জনপ্রিয়তা এমন তুঙ্গে উঠেছিল যে, মুম্বই থেকে ডাক আসে আর্শিয়ার। তাঁর বাবা-মা প্রথমে দোনামনা করলেও পরে রাজি হয়ে যান। মুম্বইয়ে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা এবং আর্শিয়া ও তার দিদি অদ্রিজার নতুন স্কুলের ব্যবস্থা করে চ্যানেল।

Advertisement

ঊর্মি নাথ

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ১১:১০
Share:

বিরাজ ও অদ্রিজার সঙ্গে আর্শিয়া

বাংলার পর এ বার হিন্দিতে। জি-তে শুরু হয়ে গিয়েছে হিন্দি ধারাবাহিক ‘ভুতু’। হিন্দি ‘ভুতু’র ভূমিকায় বাংলার ভুতু ওরফে আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়। হিন্দিতে প্রথম এপিসোডের পরই আশাতীত ফিডব্যাক পেয়ে আর্শিয়ার মা ভাস্বতী অভিভূত। তিনি জানালেন, মাত্র দেড় মাসের মধ্যে সিরিয়ালের কলাকুশলীর সঙ্গে আর্শিয়ার বন্ধুত্ব এতটাই জমে গিয়েছে যে, স্টুডিয়োই এখন তার ফেভারিট প্লেস।

Advertisement

বাংলায় ‘ভুতু’র জনপ্রিয়তা এমন তুঙ্গে উঠেছিল যে, মুম্বই থেকে ডাক আসে আর্শিয়ার। তাঁর বাবা-মা প্রথমে দোনামনা করলেও পরে রাজি হয়ে যান। মুম্বইয়ে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা এবং আর্শিয়া ও তার দিদি অদ্রিজার নতুন স্কুলের ব্যবস্থা করে চ্যানেল। জুলাইয়ে মুম্বইয়ে পা দিয়েই ভুতুর মুম্বই অভিযান নিয়ে আনন্দ প্লাস-কেই প্রথম জানিয়েছিলেন ভাস্বতী। কী ভাবে দিন কাটছে আর্শিয়ার? ‘‘ও তো মজায় আছে। এই সিরিয়ালে আরও অনেক বাচ্চা অভিনয় করছে, তাদের সঙ্গে আর্শিয়ার বেশ ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। শটের ফাঁকে তাদের সঙ্গেই খেলা জুড়ে দেয়। বড়দের মধ্যে ভুতুর মা’র চরিত্রে আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে তো ওর বেজায় দোস্তি,’’ ভাস্বতীর কথায় বোঝা গেল আর্শিয়া এখন ‘ভুতু’ টিমের মধ্যমণি। বাংলার চেয়ে মুম্বইয়ে পরিবেশ, কাজের ধরন খাদ্যাভাস, ভাষা সবই তো আলাদা। এই আলাদা পরিবেশে একটি ছ’বছরের মেয়ে এত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিল? ‘‘এখানে ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ হয় না। আমাদের ফ্ল্যাট থানেতে, সেখান থেকে নওগাঁওয়ে স্টুডিয়োতে যেতে ওই আধ ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট লাগে। সওয়া আটটার মধ্যে গাড়ি এসে যায়। সকালে ওকে একটু মাখন-ভাত খাইয়ে নিয়ে আসি। স্টুডিয়োতেও ভাল প্রাতরাশ দেয়। আর্শিয়া ডিম খেতে ভালবাসে, তাই প্রায়ই ওর জন্য ডিম ভাজা চলে আসে। রেস্ট নেওয়া বা পড়াশোনার জন্য আলাদা ঘরও দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা অবশ্য কলকাতাতেও ছিল। এখানে তার পরিমাণ আর একটু বেশি। আর্শিয়ার ভারী যত্ন নেয় ওরা। এই জন্যই বোধহয় মানিয়ে নেওয়া গিয়েছে আনন্দের সঙ্গে।’’

আর্শিয়া ও অদ্রিজা এখন মুম্বইয়ে পোদ্দার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্রী। আশির্য়ার ক্লাস টু, অদ্রিজা ক্লাস সেভেন। বোনের সঙ্গে সারাক্ষণ মা থাকে, তাই অদ্রিজার দেখাশোনার জন্য দাদু দিদা মুম্বইয়ে এসেছেন। মাঝে মাঝে অদ্রিজা শ্যুটিং দেখতে ফ্লোরে চলে আসে। ওদের বাবা দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় এখনও মুম্বই শিফট করেননি। তবে অল্প দিনের মধ্যেই তিনি মুম্বইয়ে চলে আসবেন। শট শেষ হতেই কথা শুরু হল আর্শিয়ার সঙ্গে। প্রথম প্রশ্ন সে-ই করল, ‘‘তুমি কেমন আছ?’’ উত্তর পেয়ে প্রতিবেদককে জানাল, ‘‘জানো তো, এখানে আমার অনেক বন্ধু হয়েছে।’’ বেস্ট ফ্রেন্ড কে? একটু ভেবে বলল, ‘‘বিরাজ ভাইয়া। মানে যে গোপাল হয়েছে।’’ নতুন হেয়ার স্টাইলে তুমি খুশি? ‘‘ভীষণ! সকলে বলছে আমাকে বেশ ভাল লাগছে।’’ পরিণত উত্তর আর্শিয়ার। নতুন স্কুল কেমন লাগছে? সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘‘ভাল।’’ নতুন স্কুলে মাত্র এক দিনই গিয়েছে সে। ক্লাস টু-এর এই ছাত্রীর ১০-১২ দিন অন্তর স্কুলে গেলেই হবে! ভুতু হওয়ার দৌলতে স্কুল থেকে এই ছাড়পত্র পেয়েছে সে। কলকাতায় শ্যুটিংয়ের সময় প্রতিদিন সে এক প্যাকেট করে চিপস পেত। এখানে? প্রশ্ন শেষ করার আগেই একগাল হেসে সে জানাল, নিয়মিত চিপস ও চকোলেট সে পাচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন