প্রায় একার হাতে যে কোনও ফিল্ম হিট করিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশি কিছু অদ্ভুত ধ্যান-ধারণা রয়েছে বলিউডে এই সুপারস্টারদের। সেগুলি কী কী?
নিজের কেরিয়ারে বহু উত্থান-পতন দেখেছেন অমিতাভ বচ্চন। প্রথম দিকে একের পর এক ফিল্ম ফ্লপ করছে। তার পর একের পর এক ফিল্ম সুপার-ডুপার হিট। কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকার সময় সর্বস্বান্তও হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় এক জনের পরামর্শ মেনে নীলকান্তমণি ধারণ করেন। এর পর থেকেই নাকি তাঁর কেরিয়ারে জোয়ার আসে। এখনও তাঁর আঙুলে দেখা যায় এই মণি।
বলিউডে নাকি প্রতি শুক্রবারই ভাগ্যবদল হয়। হিরো থেকে জিরো হয়ে যান অনেকে। অনেকের মতো অক্ষয় কুমারও জীবনে বহু টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গডফাদার না থাকলেও বলিউডে নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন ‘খিলাড়ি’ অক্ষয়। অক্ষয় আবার মনে করেন, ফিল্ম রিলিজের সময় বিদেশে থাকলে নাকি তা হিট হয়!
বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান আবার নম্বর নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে। এটা তাঁর কুসংস্কারও বলতে পারেন। শাহরুখ মনে করেন, ৫৫৫ নম্বরটা নাকি তাঁর ক্ষেত্রে লাকি। তাই তাঁর গাড়ি থেকে মোবাইল, সবেতেই ৫৫৫ নম্বরের ছড়াছড়ি।
শাহরুখ খানের মতোই বলিউডের আর এক খানেরও বেশ কিছু অদ্ভুত ধ্যানধারণা রয়েছে। আমির মনে করেন, বছরের শেষ দিকে ফিল্ম রিলিজ করলেই নাকি তা হিট হবে। এ জন্যই তাঁর বেশির ভাগ ফিল্ম রিলিজ হয় ডিসেম্বরে।
সংস্কার মানার ক্ষেত্রে হৃতিক রোশনও কিছু কম যান না। বিমানে চড়ে কোথাও যাওয়ার আগে তিনি এক চামচ দই-চিনি খাবেনই। আবার ইংরেজির ‘কে’ অক্ষরের প্রতিও তাঁর দুর্বলতার কথা অনেকে জানেন। হৃতিকের বেশির ভাগ ফিল্মের প্রথম অক্ষরও শুরু হয় ‘কে’ দিয়ে।
শাহরুখ বা অমিতাভের মতোই রণবীর কপূরও নানা সংস্কার মেনে চলেন। তার মধ্যে একেবারে উপরের তালিকায় থাকবে ৮ নম্বরটা। ওই নম্বটাই নাকি রণবীরের জন্য লাকি!