গোলাপি পোশাকে মোহময়ী জাহ্নবী কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
কান চলচ্চিত্রোৎসবে এ বছর এক ঝাঁক ভারতীয় তারকা। সত্যজিতের অভিনেত্রী সিমি গারেওয়াল, শর্মিলা ঠাকুরকে যেমন দেখা গিয়েছে, তেমন দেখা গিয়েছে উর্বশী রৌতেলাকেও। এ বার সদলবলে হাজির হলেন শ্রীদেবী-কন্যা জাহ্নবী কপূর। ২০ মে সন্ধ্যায় নিজের ছবি ‘হোমবাউন্ড’-এর সহ-অভিনেতা ঈশান খট্টর, বিশাল জেঠওয়াকে পাশে নিয়ে লাল গালিচায় দেখা দিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন এ ছবির পরিচালক নীরজ ঘেওয়ান এবং প্রযোজক কর্ণ জোহরও। প্রথম থেকেই নজর কেড়েছে জাহ্নবীর উজ্জ্বল গোলাপি পোশাক। ফরাসি বিকেলের ম্লান আলো যেন তাঁর মুখের আদলে ঢেলে দিয়েছিল শ্রীদেবীর ছায়া।
তরুণ তাহিলিয়ানির পোশাকে দেখা গিয়েছে জাহ্নবী কপূরকে। ছবি: সংগৃহীত।
ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা— আসলে প্রথম বার লাল গালিচায় হেঁটে জাহ্নবী মনে করিয়ে দিলেন শ্রীদেবীকে। হয়তো মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই চাইলেন। এ দিন জাহ্নবীর পরনে ছিল তরুণ তাহিলিয়ানির তৈরি পোশাক। ধূসর-গোলাপি রঙের বেনারসি টিস্যু কাপড়ে ছিল ধাতব চাকচিক্য। গলায় মুক্তোমালা। কিন্তু তাঁর সাজের সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয়টি ছিল ঘোমটায়। ঘাগড়া ও করসেটের মতো পোশাক পেঁচিয়ে ছিল একটি ওড়না। তারই মাঝের অংশ ঘাড়ের কাছে করা খোঁপা ঘিরে ফেলা ছিল ঘোমটা— যেন একেবার ভারতীয় বধূটি।
জাহ্নবীর ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ হতেই অনুরাগীরা মুগ্ধ। তাঁদের মধ্যেই অনেকে মেয়ের সঙ্গে মায়ের মিল খুঁজে পান। কেউ লেখেন, “কানের লাল গালিচায় জাহ্নবী যেন তাঁর মা শ্রীদেবীকেই উপস্থাপন করছেন।”কেউ লিখেছে, “শ্রীদেবীর কথা মনে পড়ছে।”
এই মুহূর্তে ‘হোমবাউন্ড’ ছবির কাজেই ব্যস্ত জাহ্নবী। এ ছবিতে ফুটে উঠবে উত্তর-পূর্ব ভারতের এক গ্রামের কাহিনি। এ ছবিটি কান চলচ্চিত্রোৎসবের ‘ইউএন সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রযোজক হিসাবে যোগ দিয়েছেন মার্টিন স্করসেসি।