Bombay HC Dismisses Nawazuddin Siddiqui's Case

ভাই ও ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকীর মানহানি-মামলা খারিজ!

নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছিলেন অভিনেতা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১৯
Share:

নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকী দায়ের করা মামলা খারিজ। ছবি: সংগৃহীত।

নিজের ভাই এবং ভাইয়ের বৌয়ের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকী। খবর, শুক্রবার বম্বে হাই কোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, অভিনেতা দায়ের করা মামলা চালাতে না পারায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে।

Advertisement

ভাই শামসুদ্দিন সিদ্দিকী এবং ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রী অঞ্জনা পাণ্ডের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ এবং মানহানির অভিযোগ ছিল অভিনেতার।

জানা গিয়েছে, শামসুদ্দিনকে অভিনেতা ২০০৮ সালে নিজের আপ্তসহায়ক পদে বহাল করেছিলেন। সেই অনুযায়ী অভিনেতার অর্থকরী লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্ড, ব্যাঙ্কের চেকবই, পাসবই, পাসওয়ার্ড-সহ সমস্ত কিছুই ভাইয়ের দায়িত্বে ছেড়েছিলেন। কারণ, সমস্ত আর্থিক লেনদেন এবং তার হিসাব শামসুদ্দিনই দেখতেন বলে দাবি। নওয়াজ়উদ্দিনের অভিযোগ, এই সুযোগ তাঁর ভাই ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়েছিলেন।

Advertisement

অভিনেতার ভাই নাকি গোপনে মুম্বইয়ের ইয়ারি রোডে একটি ফ্ল্যাট, অভিনেতার সম্পত্তির অর্ধেক অংশ, বুলধানায় জমি, শাহপুরে একটি খামারবাড়ি, দুবাইয়ে একটি বাড়ি এবং ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছিলেন। এ ছাড়াও, ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন! শামসুদ্দিন সেই সময় তাঁর দাদাকে বুঝিয়েছিলেন, তিনি যা কিনছেন তার যৌথ মালিকানায় দুই ভাইয়ের নাম রয়েছে। যদিও অভিনেতা পরে জানতে পারেন, সবটাই মিথ্যা।

একই ভাবে ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রী অঞ্জনার বিরুদ্ধে নওয়াজ়উদ্দিনের অভিযোগ, ভাইয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাঁর সন্তানদের দেখভাল এবং আর্থিক খরচ বহনের জন্য প্রতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা দিতেন অঞ্জনাকে। সেই সঙ্গে অঞ্জনাকে আড়াই কোটি টাকা দিয়েছিলেন একটি প্রযোজনা সংস্থা খোলার জন্য। ভাইয়ের বৌ সেই সমস্ত টাকা নাকি ব্যক্তিগত কারণে খরচ করতেন। এমনকি, শামসুদ্দিনের প্ররোচনায় নওয়াজ়উদ্দিনকে বদনাম করার উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু ভুয়ো ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছিলেন, যা অভিনেতার সুনাম নষ্ট করেছিল, যার জেরে বেশ কিছু কাজ হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর।

নওয়াজ়উদ্দিনের যাবতীয় অভিযোগের বিরুদ্ধে এর পরেই আদালতে পাল্টা আবেদন রাখেন শামসুদ্দিনের আইনজীবী আলি কাশিফ খান দেশমুখ, সিংধা খান্ডেলওয়াল এবং ফরিদ শেখ। তাঁদের দাবি ছিল, অকারণ অর্থনৈতিক চাপ তৈরির জন্যই নওয়াজ় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement