অমিত মিশ্র
‘মনমা ইমোশন জাগে’, ‘বুলেয়া’, ‘শ তরহা কে’ হিট হওয়ার পর গায়ক অমিত মিশ্র এখন পরিচিত নাম। প্রীতমের মিউজিকে সদ্য ‘টিউবলাইট’ ছবিতে গান গেয়েছেন। সেখানে ‘রেডিয়ো’ গানটাও হিট। খ্যাতিটা অমিত নিজেও উপভোগ করছেন। বললেন, ‘‘সলমন খানের গলায় আমার গান, সেটাও একটা বড় পাওনা। খেয়াল রাখতে হয়েছিল ছবিতে ওঁর যে ইনোসেন্স সেটা যেন আমার গলাতেও থাকে।’’
আগে গায়ক আর অভিনেতার একটা জোরদার টিম হতো। মুকেশ-রাজ কপূর, রফি-দেব আনন্দ, কিশোর-রাজেশ খন্না...এখন ঠিক এ ভাবে কোনও নায়ক-গায়ক জুটি তৈরি হয় না। এর কারণ কী বলতে পারবেন? ‘‘আমি বরুণ ধবনের জন্য দুটো গান গেয়েছি। তাতে যা প্রতিক্রিয়া পেয়েছি মনে হয়েছে, আমার গলায় বরুণ মিলে যায়। কিন্তু আমি সব হিরোর জন্যই গান গাইতে চাই। আপনি যখনকার কথা বলছেন তখন এত বেশি ছবি তৈরি হতো না। তাই তখনকার নিয়মকানুনগুলো অন্য রকম ছিল।’’
অমিতও রিয়্যালিটি শো থেকে এসেছেন। প্রীতমের সঙ্গে সেখানেই আলাপ। ‘‘আমি এখনও প্রীতমদাকে মেন্টর হিসেবেই দেখি। ওঁর সামনে এখনও আমার মুখ খোলে না,’’ লাজুক হেসে বললেন গায়ক।
আরও খবর
‘খোলসা করে বলি, আমি মনের মানুষ পেয়ে গিয়েছি’
ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি পেলেও শেখার কোনও শেষ নেই বলেই তিনি মনে করেন। বিশ্বাস করেন, ভাল শ্রোতাই ভাল গায়ক হতে পারে। দেশ-বিদেশের সব গান শুনে নিজেকে আপ়ডেট রাখেন অমিত। পিয়ানো শিখেছেন, ভোকাল ট্রেনিং নিয়েছেন।
সমসাময়িকদের মধ্যে কার গান পছন্দের? এক কথায় জবাব দিলেন, ‘‘অরিজিৎ সিংহ। ও এখন মাইলস্টোন হয়ে গিয়েছে। আমার তালিকায় গুলাম আলি থেকে বেনি দয়াল সকলেই আছেন।’’
কলকাতায় মাস দুয়েক আগে লাইভ শো করতে এসেছিলেন। এখানকার শ্রোতার প্রশংসা তো করলেনই, সকলের মতো অমিতও মজে গিয়েছেন বাঙালি খাবারে। লুচি-তরকারি আর গুড়ের সন্দেশ তাঁর প্রিয় খাবারের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে।