শুটিংয়ে আবির।
শহরে শীত নামছে। জাঁকিয়ে বসছে অপেক্ষা। অপেক্ষা রহস্যের। অপেক্ষা সত্য উদ্ঘাটনের। অপেক্ষা সত্যান্বেষীর। ঠিকই ধরেছেন, সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সীর জন্য অপেক্ষার পারদ চড়ছে কলকাতায়।
ফেলু-ব্যোমকেশের কমন ব্র্যাকেটে রয়েছেন ‘আবির’। জল্পনা, মন কষাকষি এবং ব্যাক্তিগত আক্রমণ সব নিয়ে সিনে পাড়ায় ঝড় উ়ঠেছিল এককালে। এখনও ‘অঞ্জন’-এর মানভঞ্জন হয়নি, ‘অরিন্দম’-এর ছন্দ পতনও হয়নি। আখেরে বছরে দুটো করে ডিটেকটিভ ছবি অন্তত বেরোচ্ছে।
‘ব্যোমকেশ’ পরিচালনা গুণমান বাদ দিয়ে যা বলা যেতে পারে তা হল, পর্দায় ডিটেকটিভ এলে বক্সঅফিসে ট্যাঁকবাক্স ফুলে ফেঁপে ওঠে প্রযোজকদের। অঞ্জন দত্তর ‘ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা’ প্রায় আড়াই কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে ইতিমধ্যেই, এখনও চলছে অনেক সিনেমা হলে। অন্যদিকে ২০১৫-এ অরিন্দম শীলের ‘হর হর ব্যোমকেশ’ও ধনপ্রাপ্তির নিরিখে সর্বোচ্চ পদে ছিল। গত বছর ১৯ অগস্ট শুরু হয়েছিল ‘হর হর’-এর শুটিং। আর ঠিক এক বছর পরে ১৯-অগস্ট ২০১৬, একই দিনে শুরু হয় ‘ব্যোমকেশ পর্ব’র শুটিং।
‘ব্যোমকেশ’র রচয়িতা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। গল্প ‘অমৃতের মৃত্যু’। অরিন্দমের কথায়, ‘‘বাংলা সাহিত্যে ব্যোমকেশ এমন একটা চরিত্র যে একদিকে গভীর ভাবে চিন্তা করে, সত্য অন্বেষণ করে, অন্যদিকে তার সাহস, তার স্পিরিট। যেটা তাকে সব কিছু থেকে আলাদা করতে পেরেছে।’’
আবির, ঋত্বিক এবং সোহিনী আগের মতোই রয়েছেন। মূল গল্পে সত্যবতী ছিলেন না, তবে অরিন্দমের গল্পে ‘সত্যবতী’ বিদ্যমান। অস্ত্রের চোরাকারবার রুখতে ব্যস্ত থাকবেন সত্যান্বেষী এবং কোং। ঢিশুম ঢিশুম এ ভরপুর এই ‘পর্ব’। এছাড়াও ‘শীল’ বাবুর ‘ব্যোমকেশ’এ থাকবেন কৌশিক সেন, জুন মালিয়া, শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়, শান্তিলাল, রুদ্রনীল, মীর এবং আরও অনেকে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সমসাময়িক ঘটনা। শুটিং হয়েছে ডুয়ার্স, গরুমারা এবং খাস কলকাতাতেও। বিক্রম ঘোষ সুর দিয়েছেন ছবিতে। ট্রেলার মুক্তি পেল গত ১৮ নভেম্বর। আবির চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনের উপহারে মিলল তারই সিনেমা ‘ব্যোমকেশ’ ট্রেলার। ট্রেলারেই দর্শকের উত্তেজনার পারদ চড়েছে। ভিউয়ারশিপও তুমুল বাড়ছে। আগামী ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে এই ছবি।