কানাডিয়ান গায়িকা সিলিন ডিয়ন তাঁর বারো বছর বয়সে প্রথম দেখেন রেনে অ্যাঞ্জেলিলকে। তখন তিনি ৩৮। গান-শো-রেকর্ডিং— গায়িকার সব কাজই সামলাতেন রেনে। আর সেই কাজের ফাঁকেই কখন যেন মন দেওয়া-নেওয়া হয়ে গিয়েছিল দু’জনের। প্রেমপর্ব আরও জোরালো করতে সাত বছর পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সিলিন ও রেনে। তিন ছেলে নিয়ে ভালই কাটছিল তাঁদের সংসার জীবন। বাধ সাধল বিধি। ২০১৩ সালে গলায় ক্যানসার ধরা পড়ে স্বামী রেনের। অস্ত্রপোচার করে এখন সুস্থ থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কর্মসূত্রে গায়িকা সিলিনের ‘ম্যানেজার’-ও ছিলেন রেনে-ই। কিন্তু শারীরিক কারণে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সে দায়িত্বে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি। সিলিন নিজেও দর্শকদের সামনে আসেননি তার পর থেকে। গত অগস্ট মাস থেকেই তিনি শো করা স্থগিত রাখেন। গায়িকার কথায়, পারফর্ম করার জন্য মানসিক ভাবে তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। তা ছাড়া, পরিবারেও তাঁর উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন ছিল।
কথায় আছে ‘শিল্পের জন্যই শিল্পী’, তাই ফিরে তো তাঁকে আসতেই হবে। যদিও ৪৭ বছরের গায়িকার অভিমত অন্য। স্বামী রেনে ‘আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার’, বলেন সিলিন। স্টেজে তাঁকে পারফর্ম করতে দেখা-ই রেনের সেই ‘চেষ্টা’য় সহযোগিতা করবে। ‘আমি ওঁর ফেবারিট গায়িকা’, স্বামীর সম্পর্কে বলেন সিলিন। তাই তাঁর গান গাওয়াটা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন গায়িকা।
চলতি বছরের ২৭ অগস্ট লাস ভেগাসে সিজারস প্যালেসের ‘কলোসিয়াম’ মঞ্চে ফিরে আসার কথা ঘোষণা করেছেন পাঁচটি গ্র্যামি পুরস্কার জয়ী গায়িকা সিলিন ডিয়ন। ‘নিয়ার ফার হোয়ের এভার ইউ আর’ গানের কথাতেই সিলিন বলেছেন, সেই দিন শ্রোতার আসনে যদি একজনও থাকেন, তা হলে তিনি হবেন তাঁর স্বামী রেনে অ্যাঞ্জেলিল। ‘টাইটানিক’ ছবির সেই বিখ্যাত গানটি যেন জীবনের মন্ত্র করেই তাঁর ‘...হার্ট উইল গো অন’।