রক্তকরবী নয়, রক্তজবায় সাজলেন চৈতি ঘোষাল। ছবি: সোম।
চৈতি ঘোষাল মানেই যেন ‘রক্তকরবী’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অচলায়তন’-এর পাতা থেকে উঠে আসা ‘নন্দিনী’। নাটকের খাতিরে যাঁর মাথার চুল, কানের দুল রক্তকরবী ফুল। সেই তিনিই সেজে উঠলেন রক্তজবায়!
দীপাবলির সাজে চৈতি ঘোষাল ছবি: সংগৃহীত।
তাঁকে সাজিয়ে তুললেন পোশাকপরিকল্পক রাইকিশোরী কৃষ্ণকলি। তাঁর কথায়, “হালকা হিমেল বাতাসে উদ্যাপনের আমেজ। চৈতিদিকে তাই কালো শিফন, সাদা-কালোর সহবাসে তৈরি ব্লেজ়ার পরিয়েছি। আর কালীপুজো মানেই তো জবাফুল। তাই রক্তকরবী নয়, গাঢ় লাল জবায় সাজিয়েছি তাঁকে।”
উদ্যাপনের নতুন সাজে চৈতি ঘোষাল। ছবি: সংগৃহীত।
এতেই তাঁর রূপ খুলে গিয়েছে! দাবি খোদ অভিনেত্রীর। “নিজের চোখে নিজে কখনও সুন্দরী নই। আয়নার সামনে দাঁড়ালে রীতিমতো মনখারাপ! একদিনও কি সুন্দর দেখাতে নেই?” সেই তিনিই নাকি ‘পরমাসুন্দরী’ রাঙা জবার ছোঁয়ায়। কেবল চুলে জবাফুল সাজানো ছিল তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, “চুলে রক্তজবা দিতেই রূপ খুলে গেল! মনে হল ঐশ্বরিক সৌন্দর্য যেন ঘিরে ধরল আমায়।”
চৈতি ঘোষালের সাজ বলছে, উদ্যাপনে এমনই সাজে। ছবি: সংগৃহীত।
চৈতির কণ্ঠে আবেগ, “আমার মা, আমার ঠাকুরঘরের দেবতা সাজেন জবাফুলে। সেই ফুলে আমিও সেজে উঠলাম!” রবীন্দ্রনাথের রক্তকরবী আর দেবী কালিকা— কোথাও কি এক? অভিনেত্রীর মতে, দুই নারীই শক্তির প্রতীক। তাঁদের শক্তির প্রকাশ তাই লাল রঙে। পার্থক্য, নন্দিনী অচলায়তন সরাতে প্রাণ দিতে পারে। একই ভাবে সৃষ্টির কারণে প্রাণ নিতে পিছপা হন না দেবী।
কালোতেই ভুবন আলো? চৈতি ঘোষালের সাজ বলছে। মডেল: চৈতি ঘোষাল। পোশাক ও রূপসজ্জা: রাইকিশোরী কৃষ্ণকলি। ছবি: সোম। সহযোগিতায়:কেয়া পায়েল চৌধুরী।
তাই পারিবারিক দেবী দুর্গা হলেও, তাঁর আর এক রূপ দেবী কালিকে ভক্তি করেন, বিশ্বাস করেন চৈতি। তাঁর ভালবাসা নূপুর পায়ে শ্মশানে হেঁটে বেড়ানো দেবীর শিশুরূপকে। যাঁকে ভালবেসে অনেক সময় নানা প্রার্থনা জানিয়েছেন। দেবী কি তাঁর ভালবাসায় সাড়া দিয়েছেন? অনেক প্রার্থনাই পূরণ করেছেন দেবী, তৃপ্ত কণ্ঠে দাবি অভিনেত্রীর।