মুন্নাভাই এমবিবিএস ফিল্মে সার্কিটের চরিত্রে আরশাদ ওয়ারসি (বাঁ দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
আইন ভাঙাটা যেন ‘সার্কিটে’র কাছে জলভাত। ‘মুন্নাভাই’য়ের সঙ্গে মিলে কত বার যে এমনটা করেছেন তার ইয়ত্তা নেই! তবে সে তো রিল লাইফে। কিন্তু, রিয়েল লাইফেও যে তাঁর বিরুদ্ধে ‘বেআইনি’ কাজের অভিযোগ উঠবে তা কে জানত।
সার্কিট থুড়ি আরশাদ ওয়ারসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)। সোমবার আরশাদের ভারসোভার বাংলোতে হানা দিয়ে তার তিনতলার একাংশ ভেঙে দিলেন বিএমসি-র কর্মীরা। অভিযোগ, সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবেই ওই নির্মাণ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন
নবাব, বস-টু নিয়ে তরজা তুঙ্গে বাংলাদেশে
ভারসোভায় এয়ার ইন্ডিয়া কো-অপরেটিভ সোসাইটিতে ২০১২-য় একটি দোতলা বাংলো কিনেছিলেন আরশাদ ও তাঁর স্ত্রী মারিয়া গোরেটি। সোসাইটির বাসিন্দাদের অভিযোগ, সে বছর বেআইনি ভাবে বাংলোয় তেরোশো বর্গফুটের ওই তৃতীয়তলটি নির্মাণ করেন বলিউড অভিনেতা। এ নিয়ে বিএমসি-তে নালিশও জানান সোসাইটির বাসিন্দারা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পরের বছর তা ভাঙতে যান বিএমসি-র কর্মীরা। তখনই আদালতের দ্বারস্থ হন আরশাদ। বিএমসি-র নির্দেশে নির্মাণ কাজে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
কিন্তু, চার বছর পর সম্প্রতি সেই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে আদালত। ফলে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন আরশাদ।
গত শনিবার ওই বাংলোয় গিয়ে তিনতলার ওই অংশ ভাঙার নোটিস ঝুলিয়ে আসে বিএমসি। সে সময় অবশ্য বাংলোতে ছিলেন না আরশাদ বা তাঁর স্ত্রী। নোটিসে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই নির্মাণ ভেঙে দিতে হবে। তাতে কোনও সাড়া না মেলায় সোমবার ফের বাংলোতে হাজির হন বিএমসি কর্মীরা।
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওই দিন তিনতলার একাংশ ভাঙা হয়েছে। তবে ফের এক বার ওই অভিনেতা ও তাঁর স্ত্রীকে নোটিস পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুরসভা। গোটা ঘটনায় আরশাদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তাঁর বাংলোর একাংশ যে ভাঙা হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।